পুরোনো বলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য রুদ্র মূর্তি ধারণ করতেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ডেথ ওভারে তার ইয়র্কার, বোলিং বৈচিত্র্য মুগ্ধ করে সবাইকে। আটকে রাখতেন রানের চাকা। কিন্তু নতুন বলে নিজেও পেতেন ভয়। প্রায়ই লাইন লেন্থ হারাতেন। তাতে ব্যাটসম্যানদের রান ফোয়ারা ছুটত। সঙ্গে বড় ব্যাটসম্যানদের সামনে বল করার জুজুও কাজ করতো।
মাসখানেক আগে তার সুযোগ হয়েছিল আবুধাবিতে টি-টেন লিগ খেলার। সেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন পাকিস্তানের গ্রেট মোহাম্মদ আমিরকে। তাকে পাশে পেয়েই মৃত্যুঞ্জয় পেছনে ফেলেছেন পেছনের সব ভুল-ত্রুটি। জুজু তাড়িয়ে হয়েছেন আরও শাণিত।
সেসব কথাই মৃত্যুঞ্জয় শুনিয়েছেন একাডেমি মাঠে, ‘এক মাস আগে আমি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত যে এতো সুন্দর জায়গায় খেলতে পারলাম। অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমার ক্যারিয়ারে ওই এক মাস ছিল সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা। আমি বিশ্বমানের বোলার আমিরের সাথে ছিলাম।’
‘আমিরের সঙ্গে একসাথে থাকার কারণে শেখা হয়েছে। তিনি আমাকে অনেক বড় কোনো টিপস দেননি, কিন্তু ছোট ছোট যেগুলো বলেছেন সেগুলো আমার প্রয়োজন ছিল। সেগুলো আমাকে খুব সাহায্য করেছে।’
‘আগে ভয় পেতাম বড় ব্যাটসম্যানদের সামনে পড়লে কেমন হবে। গত টি-টেন লিগে আমাকে ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী করে দিয়েছে যে দুনিয়ার যেই থাকুক না কেন আমি আমার সেরাটা দিব এবং ভালো কিছু করবো।’
‘গতবার স্লগে খুব ভালো বোলিং হয়েছিল। তবে নতুন বলে ভালো করার লক্ষ্য ছিল, সেটা করতে পারিনি। এই এক বছরে আমি নতুন বলে নিজেকে তৈরি করেছি। আমার লক্ষ্য আছে নতুন বল ও স্লগ ওভারে যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। আমার দলকে যেন একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি এবং আমার ক্যারিয়ারটাও যেন সুন্দর হয়।’
নিজেকে শুধু পেসার হিসেবেই দেখতে নারাজ মৃত্যুঞ্জয়। বাঁহাতি পেসার প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার হতেও চান। যুব ক্রিকেট থেকেই বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে হাল ঝালিয়ে নিয়েছেন। সামনে নিজেকে আরও মেলে ধরতে চান এ ক্রিকেটার, ‘আমি যদি এটা (ব্যাটিং নিয়ে কাজ) ছেড়ে দেই ভবিষ্যতে ভালো অলরাউন্ডার হতে পারবো না। আমার স্বপ্ন আমি একজন ভালো অলরাউন্ডার হব। আমরা বিশ্ব ক্রিকেটে দেখলে স্টিভ স্মিথের কথা বলতে পারি। শুরুতে বোলার ছিল, কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রমের কারণে সে ব্যাটসম্যান হয়ে গেছে।’