বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত গীতিকার ও সুরকার। বর্তমানে এ গুণী ব্যক্তি মুমুর্ষূ অবস্থায় শয্যাশায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি। তার বর্তমান বয়স ৬০ বছর।
খ্যাতিমান এ সুরকারের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ইমরুল হাসান ইমনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আলী আকবর রুপু ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। এমনিতেও তিনি ডায়ালাইসিসের পেশেন্ট। আইসিইউতে ছিলেন। যেহেতু আইসিইউতে ডায়ালাইসিস হয় না, তাই তাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। উনি কথা বলতে পারছেন না, তবে অন্যের কথা বুঝতে পারছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি লাঞ্চের সময় অফিস থেকে বাসায় গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নেওয়া হয় ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে, সেখানে জায়গা না পাওয়ায় বারডেমে নিতে হয়। সেখানেও জায়গা পাওয়া যায় না, কোনো জায়গাতেই আইসিইউ খালি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুদিন রেখে তারপর আনা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে।’
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে আলী আকবর রুপু প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন গানের সুর ও কম্পোজ করেছেন। ১৯৮২ সালের দিকে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডে কিছুদিন গিটার ও কিবোর্ড বাজিয়েছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চারণ ছেড়ে দেন। তারপর ‘উইন্ডস’ নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন। অবশ্য তার পরিচয় মূলত গীতিকার ও সুরকার হিসেবে। নিজ কণ্ঠে গেয়েছেন হাতে গোনা তিন-চারটি গান। দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের প্রায় সবাই তার করা সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন। সাবিনা ইয়াসমিনের ‘প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি’, এন্ড্রু কিশোরের ‘পদ্ম পাতার পানি নয়’ এবং মুরাদের ‘আমি আগের ঠিকানায় আছি’ ছাড়াও অসংখ্য জনপ্রিয় গানে সুরারোপ করেছেন তিনি।