জীবনে সফল হতে চাইলে সঠিক পরিকল্পনা করে এগুনো ছাড়া বিকল্প নেই। তাই নিজেদের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে করণীয় কী, তা নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো:-
মাসিক বাজেট তৈরি : বাজেট হচ্ছে সহজ পন্থা; যা আপনার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে।
স্বপ্ন পূরণের প্রথম পদক্ষেপ এটি। প্রতি মাসের আয়ের উপর নির্ভর করে ব্যয়ের বাজেট করুন। ডায়েরি কিংবা কম্পিউটারে বাজেট লিখে রাখুন। শুধু বাজেট তৈরি করলে হবে না; ব্যয়ের ক্ষেত্রে কখনোই যেন বাজেট অতিক্রম না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রথম কয়েক মাস বাজেট অতিক্রম হতে পারে। তবে এটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিজের বাজেটের উন্নতি করার চেষ্টা করুন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বাজেট মানে খরচ কম করা নয়; বাজেট মানে সুষ্ঠু ব্যয় পরিকল্পনা।
তাই বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে ব্যয় খাতগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করুন। ১. প্রয়োজনীয়তা, ২. বিবেচনামূলক, ৩. বিনোদনমূলক।
এই ৩টির মধ্যে প্রয়োজনীয়তাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিবেচনামূলক এবং বিনোদনমূলক বাজেট করুন।
প্রয়োজনীয় অর্থের প্রাক্কলিত হিসাব তৈরি করুন: আপনি কোন চাহিদা বা স্বপ্নপূরণে চেষ্টা করছেন? তা পূরণে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতে পারে? ওই চাহিদা বা স্বপ্নপূরণে আপনি সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে রাজি আছেন? এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো নোট করুন। টাকার হিসাব স্পষ্টভাবে রাখুন। আপনার উদ্দেশ্যগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করতে পারেন; ছোট, মাঝারি ও বড়। এরপর তালিকা তৈরি করুন। আপনার চাহিদা বা স্বপ্নপূরণে কত সময় ব্যয় হতে পারে- তাও লিখে রাখুন।
সঞ্চয়ী হোন : প্রতি মাসের আয়ের একটা অংশ সঞ্চয় করুন। অল্প অল্প সঞ্চয় করলেও বছরের মধ্যে অনেক টাকা জমানো সম্ভব। শুধু স্বপ্নপূরণে নয়; সঞ্চিত অর্থ বিপদে বড় সম্বল হতে পারে।
অর্থ বিনিয়োগে সতর্ক হোন: বিভিন্ন উপায়ে আয়কৃত অর্থ নতুন করে বিনিয়োগে সতর্ক হোন। হঠাৎ খেয়ালের বশে বিনিয়োগ করা উচিত না। বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টার্গেট নির্ধারণ করুন। ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করুন।
উপযুক্ত বীমা করুন: ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বীমা। নিয়মিত আয়ের মধ্যে থাকলে আমরা বীমার গুরুত্ব বুঝি না। তবে বিপদের সময় বীমার অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যখন থেকে আয় শুরু হবে, ঠিক তখন থেকেই আপনার সামর্থ অনুযায়ী বীমা পলিসি গ্রহণ করুন। আর্থিক জীবনের শুরুতেই বীমা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। ব্যক্তি পর্যায়ে জীবন বীমা, শিক্ষা বীমা, চিকিৎসা বীমা,ঋণ বা দায় বীমা ইত্যাদি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।