জাল নোট তৈরি: বরিশালের দুই ইঞ্জিনিয়ারসহ গ্রেপ্তার ৪

:
: ৩ years ago

ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ কামরাঙ্গীরচর থানাধীন নোয়াগাঁও এলাকা অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির একটি মিনি কারখানা আবিষ্কার করেছে। এই সময় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তাদের হেফাজত থেকে জব্দ করেছে তৈরিকৃত ৪৬ লাখ টাকা ও জাল টাকা তৈরির বিপুল সামগ্রী।

ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, লকডাউন একটা সহনশীল পর্যায়ে চলার কারণে এবং রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিপণিবিতান/দোকানপাট খুলে দেয়ায় এবং ক্রমান্বয়ে ক্রেতাসাধারণের ভিড় পরিলক্ষিত হওয়ায় জাল টাকা তৈরি করার কাজগুলো তারা জোরেশোরে শুরু করেছে।

প্রথমদিকে তারা সাভারের জ্ঞানদা এলাকায় জাল টাকা তৈরি করতে থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে তারা কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা শুরু করে গত তিন মাস ধরে।

এদের মধ্যে গ্রেপ্তার জীবন ইতিপূর্বেও জাল টাকা তৈরির সাথে জড়িত থাকার কারণে একাধিকবার জেল খেটেছে।

ডিসি মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সূতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা এবং স্কেল কাটারসহ আরও অনেক সামগ্রী যা দিয়ে আরও কম করে হলেও দেড় কোটি জাল টাকা তৈরি করা সম্ভব হতো।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে পিয়াস ওরফে ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিক্যাল থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি গ্রামীনফোনে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি ভিদে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাওয়ার এর উপরে ডিপ্লোমা করেছেন। বেশি টাকা প্রাপ্তির লোভে তিনিও বৈধ চাকরি ছেড়ে দিয়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে যোগ দেন।

এই ২ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি জাল টাকার কোয়ালিটি যথেষ্ট উন্নত। আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে লক্ষ্য করে জাল টাকা তৈরি করার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।