জাতীয় ঐক্য কিংবা অন্য কোনো দলের সাথে ঐক্য হোক না কেন জামায়াতে ইসলামী থাকলে সেই ঐক্যজোটে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াতকে ছাড়া জোট করবে না, আপনারা জামায়াতের সাথে সেই জোটে থাকবেন কিনা? -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য কেউ গেলে যেতে পারে, আমার দল (গণফোরাম) যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি সারাজীবন জামায়াতকে সমর্থন করিনি, এখন করবো কেন? বিএনপির সাথে জামায়াত থাকলে আমরা তাদের সাথে নাই। এছাড়া আমি যতদূর জানি জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দল না। তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মাঠ ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। আমাদের দেয়নি। মাঠ ব্যবহারে অনুমতি নেয়ার কী আছে এটাই বুঝি না। নিজের জমিদারী নাকি। সরকারি সবাই মাঠ ব্যবহার করবে, আর বেসরকারি কেউ চাইলেই বলে মাঠ দেবে না, এটা সংবিধান পরিপন্হী।
কারাগারে খালেদার আদালত স্থাপনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রেখেছে ঠিক আছে কিন্তু কারাগারের ভেতর আদালত বসানো ঠিক না। ৪১ বছর আগের উদাহরণ টেনে কারাগারে আদালত বসানো যেতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে কোর্টে বিষয়টি জানিয়েছে, আমার ধারণা সেখানে আদালত বসানোর বিষয়টা কোর্টিই বিচার করবে। কারাগারে আটক এবং বিচারাধীন হওয়ার পরও অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া উচিৎ।
সাংবাদিকদের একজন সরকারের ৯ বছরের দেশ পরিচালনার বিষয়ে প্রশ্ন করতে গেলে ড. কামাল থামিয়ে দিয়ে বলেন, সরকার ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। এরপর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে গত ৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
সরকারের বিদায় চান কি না? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা জনগণ বলবে, আমি বলব কেন?
আপনি নির্বাচন করতে চান। আপনাদের ব্যক্তি ইমেজ ভালো থাকলেও অনেকে আপনাদের জনসমর্থনহীন বলেন। তাহলে কিভাবে নির্বাচন করবেন? উত্তরে ড. কামাল বলেন, জনগণকে সুযোগ দেয়া উচিৎ, তারাই বিবেচনা করবেন।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ঐক্য তৈরির কাজ ইতিবাচকভাবে এগিয়ে চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।