জাবিতে জনসম্মুখে ৫ নেতাকর্মীকে ছাত্রলীগ সেক্রেটারির লাথি!

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে চড়থাপ্পড় ও লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ. ফ. ম কামাল উদ্দিন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার নেতাকর্মীরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের দুই সহসভাপতি এস এম কিবরিয়া (সাইমন) ও আসাদুজ্জামান আশিক, উপস্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, উপআইনবিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা রিয়াদ ও ছাত্রলীগকর্মী নজিবুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে খাবারের দোকানে বসা নিয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হল শাখার দুই কর্মীর মারামারি হয়। এ নিয়ে বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

পরবর্তীতে ঘটনার মীমাংসা করতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল দুই হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আ.ফ.ম কামাল উদ্দিন হলের সামনে বসেন। দুপক্ষের বক্তব্যের একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামজা রহমান অন্তরের এক মন্তব্যে উপস্থিত সবাই হেসে উঠেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু সুফিয়ান চঞ্চল উপস্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলামের গায়ে জুতা ছুড়ে মারেন। এছাড়া উপস্থিত এস এম কিবরিয়া (সাইমন), আসাদুজ্জামান আশিক, আরিফুল ইসলাম, আমির হামজা রিয়াদ ও নজিবুর রহমানকে উপর্যুপরি চড়থাপ্পড় ও লাথি মারেন। মারধর ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সহসভাপতি এস এম কিবরিয়া জানান, ‘আমাদের সঙ্গে এমন আচরণের পর কেউ কোনো সান্ত্বনা পর্যন্ত দেয়নি। ভালোবেসে ছাত্রলীগ করে জনসম্মুখে এমন অপমান আশা করিনি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের অন্যায় পেলে রুমে নিয়ে কথা বলা যেত। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা ছাত্রলীগের মতো একটা সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের গায়ে হাত তোলা, জুতা ছুড়ে মারা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘ছোট ভাইদের অভিভাবক হিসেবে আবু সুফিয়ান একটু শাসন করেছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’