রোবট প্রযুক্তিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো জাপান। এবার জাপানিরা তৈরি করেছে এমন এক রোবট, যা ধর্মযাজকের কাজ করবে। বৌদ্ধ ধর্মের রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনায় পারদর্শী এ রোবট।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোশাকে সেজে অনুষ্ঠানের রীতি পালন করবে পেপার। এমনকি যারা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি তাদের জন্য করবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা। যাজক রোবট পেপারকে অবশ্য এখনও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মন্ত্র জপতে আমন্ত্রণ জানায়নি কেউ।
কখনও বন্ধু, কখনও বয়স্কদের সাহায্যকারী, কখনও নাচে-গানে পারদর্শী— আধুনিক জাপানে রোবটের ভূমিকা দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এবার ধর্মযাজকের আসনটিও দখল করে নিচ্ছে এই যন্ত্র মানবেরা।
যান্ত্রিক কন্ঠে মন্ত্র পড়ছেন যিনি, তিনি হলেন পেপার, জাপানের ধর্মযাজক রোবট। জার্মানির ব্লেসিং বটের আদলে পেপারকে তৈরি করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠান সফটব্যাঙ্ক। বৌদ্ধ ধর্মের শেষকৃত্যের সব রীতিনীতিই ধর্মযাজকের মত পালন করতে পারে সে।
ধর্মযাজক রোবটের প্রোগ্রামার মিচিও ইনামুরা জানান, অনেক ধর্মযাজকই এখন তাদের মূল পেশার পাশাপাশি নানা ধরণের খন্ডকালীন চাকরি করছেন। যে কারণে এখন আর ভোরবেলা কিংবা রাতে বুদ্ধের মন্ত্র জপার সময় হয় না তাদের তাই আমরা ভেবেছি পেপার হয়ত তাদের কাজটি করে দিতে পারবে।
সত্যিকারের ধর্মযাজকের পেছনে খরচ করতে হয় দুই হাজার ডলারেরও বেশি, তবে এ রোবটের জন্য খরচ হবে অর্ধেকেরও কম। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোশাকে সেজে অনুষ্ঠানের রীতি পালন করবে পেপার। এমনকি যারা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি তাদের জন্য করবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা।
বৌদ্ধ ভিক্ষু তেতসুগি মাতসুও বলেন, মূল কথা হল, আমরা একটি মেশিনের উপর সেই আধ্যাত্মিক আস্থা আনতে পারবো কীনা। আমার মনে হয়, যেকোনো ধর্মের মূলমন্ত্র হল বিশ্বাস। আমি দেখতে এসেছি পেপারের উপর মন থেকে সেই বিশ্বাস জন্মায় কিনা।
যাজক রোবট পেপারকে অবশ্য এখনও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মন্ত্র জপতে আমন্ত্রণ জানায়নি কেউ।