জাপাকে তৃনমূল থেকে পুনর্গঠন করে দলের শক্তি বৃদ্ধি করার আহবান জানিয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

:
: ৫ years ago

সোহেল আহমেদ: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ত্যাগ সহ্য করেছি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সাধ্যমত কাজ করেছি। আমার ক্ষমতাকালে মানুষ শান্তিতে ছিলো। টানা নয় বছরে মানুষের অনেক উন্নয়ন করেছি। যেসব উন্নয়ন এখনও মানুষ ভোলেনি। তাই নানা অত্যাচারিত হয়েও মানুষের ভালোবাসা পেয়ে বেঁচে আছি। প্রতিপক্ষদলের নানা ষড়যন্ত্র আমাকে হয়রানি করেছে, দলকে বিপদে ফেলেছে। তবুও জাতীয় পার্টির এখনও বিলীন হয়ে যায়নি। বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জাতীয় পার্টি উজ্জিবীত আছে। তাই দলের তৃনমূলকে পুনর্গঠন করে আরো শক্তিবৃদ্ধি করার আহবান জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান সংসদের বিরোধি দলীয় নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

নিজের ৯০তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্টানে গতকাল বুধবার ২০ মার্চ বিরোধী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি দলের নেতাকর্মীদের এ আহবান জানান।

দলীয় সুত্র জানায়, গুলশান-০১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে ৯০তম জন্মদিনের কেক কাটেন এরশাদ। অনুষ্টানে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া চেয়ে বক্তব্য রেখে তার (এরশাদ) এর জন্য সুস্থ্যতার প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ ভাঙতে পারবেনা। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেন,আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। এদিকে জাপার কেন্দ্রীয় নেতা বরিশালের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইকবাল হোসেন তাপস দলের চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া কামনা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তা বরিশাল সহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে বলে তাপস বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। তাপস বলেন,বরিশালের নেতা কর্মীরা একযোগে বিপুল উৎসাহে পল্লীবন্ধুর জন্মদিন পালন করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান. এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মোঃ আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর অব. মোঃ খালেদ আখতার, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা- ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আখতার এমপি, এ্যাড. আজাহার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান- অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোঃ আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান, এমরান হোসেন মিয়া, আবু বক্কর, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নুরুল ইসলাম ওমর, আশরাফ সিদ্দিকী, শেখ আলমগীর হোসেন, ইয়াহইয়া চৌধুরী, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামসুল হক, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মোঃ জসীম উদ্দিন, মুনিম চৌধূরী বাবু, মোঃ হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, মোঃ নাসির উদ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- সুলতান মাহমুদ, মোঃ বেলাল হোসেন, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, আনিসুর রহমান খোকন, এ্যাড. লাকী বেগম, এম.এ. রাজ্জাক খান, শারমিন পারভিন লিজা, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন খান, লিয়াকত চাকলাদার, এটিইউ আহাদ চৌধুরী, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, মোস্তফা কামাল, ক্বারী হাফেজ ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা- মাহমুদ আলম, মোঃ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, বাহাদুর ইমতিয়াজ, মোঃ নাজমুল খান, হাসান মঞ্জুর, মিজানুর রহমান দুলাল, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহমান, তাসলিম আক্তার রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, মোতাহার হোসেন মানিক, ফারুক আহমেদ, দ্বীন ইসলাম শেখ, মোঃ সোলায়মান সামি, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আবুল কাশেম, মোস্তফা আল মাহমুদ।