জাতীয় শোক দিবসের ব্যানারে আজ হয়তো আমার ছবিও স্থান পেতে পারতো-মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ

:
: ২ years ago

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ১৯৭৫ সালের ভয়াল কালোরাতের কথা স্মরণ করে বলেছেন, ওই রাতে নির্মমতার শিকার হয়ে নিহত হওয়াদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ মাত্র সাড়ে ৪ বছরের ছিলো আমার বড় ভাই সুকান্ত বাবু।

ভাই আমার মায়ের কোলে উঠতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি ছোট থাকায় মা আমাকে কোলে নিয়ে তাঁর বুকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। ভাগ্যের জোড়ে আমি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। হয়তো মানব সেবা করার জন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

 

শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল মহানগর আওতাধীন ২ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মেয়র এসকল কথা বলেন।

প্রবল বর্ষনকে উপেক্ষা করে মানিক মিয়া বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত সভায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যতোদিন বেঁচে আছি, আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। আমার কাছে কিছু চাইতে হবেনা।

চাওয়ার আগে আমি আপনাদের দাবি পূরনের চেষ্ঠা করি। মেয়র জাতির জনকসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণ করে আরো বলেন, আজ জাতীয় শোক দিবসে যে ব্যানার পোষ্টার প্রকাশ পায় তাতে হয়তো আমার ছবিও স্থান পেতে পারতো।

ভাগ্যের জোড়ে বেঁচে আছি হয়তো আপনাদের সেবা করার জন্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় মহানগর আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহমেদ মান্না বক্তব্য রাখেন। পরে ১৫ আগস্টের নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।