জাতীয় শিশু প্রতিযোগীতা ২০১৮ তে সাধারন নৃত্যে “ক” বিভাগে বাংলাদেশের ভিতরে তৃতীয় জারা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশালের সফল জেলার সাবেক এডিসি জেনারেল,সাতক্ষীরা জেলার সাবেক এডিসি জেনারেল এবং বর্ত্তমান উপসচিব জনাব মোঃ জাকির হোসেন এঁর বড় কণ্যা জারা জাতীয় শিশু প্রতিযোগীতা -২০১৮ তে সাধারন নৃত্যে ক বিভাগে বাংলাদেশের ভিতরে তয় স্থান অধিকার করেছেন।যেটা সাতক্ষীরা জেলার জন্য অনেক আনন্দের ও অনেক খুশির সংবাদ।

সূত্র জানায়,প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম বিসিএস সাতক্ষীরার সাবেক এডিসি জেনারেল ও উপসচিব মোঃ জাকির হোসেনের বড় কণ্যা জারা জাতীয় শিশু প্রতিযোগীতা-২০১৮ তে সাধারন নৃত্যে ক বিভাগে দেশের মধ্য ৩য় স্থান অধিকার করেছেন।জারা ক্লাস ওয়ান এর একজন মেধাবী ছাত্রী।জারার সাথে যারা প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেছিলো তারা প্রায় সবাই ক্লাস ফাইভ বা ক্লাস ফোরে পড়েন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।নিত্য প্রতিযোগীতায় বিশিষ্ট নাট্যকর ও অভিনেত্রী অপি করিম,দেশ বরেণ্য মডেল তারিন ও অন্যান্যরা বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র আরো জানায়,আগামী মঙ্গলবার বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার তুলে দেবেন,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ।উক্ত পুরুস্কার গ্রহণ করার জন্য জারা তার পিতা কে সাথে নিয়ে যাবেন বলে মতামত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে বড় কণ্যার সাফল্যের খবর পেয়ে সাতক্ষীরা জেলার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ও সদ্য পদন্নতি প্রাপ্ত উপসচিব জনাব মোঃ জাকির হোসেন তাঁর নিজস্ব ফেইজবুকে এক প্রানবন্ত হৃদয় ছোয়া স্টাটাস দিয়েছেন।স্টাটাস টি হুবাবু নিচে কপি করে দেওয়া হলঃ-
আমার মেয়ে জারা জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা ২০১৮ এ সাধারন নৃত্যে ক বিভাগে তৃতীয় হয়েছে। সে ক্লাস ওয়ানে পড়ে।অন্য প্রতিযোগিরা সবাই তার থেকে অনেক বড়, অন্তত ক্লাস ফাইবে পড়ে।

প্রতিযোগিতায় অপি করিম, তারিন ও অন্যান্যরা বিচারক ছিলেন। ভিতরে প্রতিযোগি ছাড়া আর কারো প্রবেশিধিকার ছিল না। আমার মেয়ে একা যাবে না।কাঁদতে কাঁদতে একদম পড়ে যাবার মত অবস্থা । আমি সাতক্ষীরায় । আমার স্ত্রী ফোনে জানাল, আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্ট্রোক করার মত অবস্থা। তা দেখে তার ও স্ট্রোক করার মত অবস্থা। আমার বুক ধড়ফড় অবস্থা। বললাম নাচের দরকার নাই । অতিরিক্ত স্ট্রেচ পড়ে থাকতে পারে। যা হোক, তারপরে ও তৃতীয় ।অনেক অনেক ভালো রেজাল্ট মামনি আমার।

অবশেষে ইভান অনেক কষ্ট করে ভিতরে পাঠায়।সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হতে পেরে জারা খুব খুশী । আমরা ও অনেক খুশী ।

আর একটা বিষয় বলছি, যা আমি কখনোই বিশ্বাস করি নাই । সারা দেশের সেরা সব প্রতিযোগিতারা। আমার স্ত্রী জানায়, এক দেড় লক্ষ টাকায় নাকি ফার্স্ট ও সেকেন্ড বিক্রয় হয়।আমি বলেছিলাম, এত টাকা । তাছাড়া আমার বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। আমি বলেছিলাম এসবে কান না দিয়ে মেয়েকে তার মতো থাকতে দাও। আমার মেয়ে তার পরিচয়ে বড় হোক এটাই আমার চাওয়া । তার প্রতিযোগিতার সময় আমি ধারে কাছে থাকি না।নিজের চেষ্টায় বড় হতে হয়। আমার কিন্তু একদম বিশ্বাস হয় নাই ।

মংগলবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার বিতরণ করবেন।জারার সাথে একজন প্রবেশাধিকার পাবে । আমার মেয়ে তার মাকে বলছে, তোমরা সবাই বাইরে থাকবে।বাবা তার সাথে থাকবে ।আরে মামনি তোমার বয়স কম।সবসময় মনের কথা এত তাড়াতাড়ি বলতে নাই ।তার মায়ের তো আক্কেল গুড়ুম। তার একা একা এত পরিশ্রম করা।মেয়ে দুটোই মুখের উপর বলবে বাবাকেই বেশী ভালবাসে।

সাতক্ষীরার প্রতিযোগি হিসেবে এ সাফল্য সাতক্ষীরার জন্য উৎসর্গ করা হল। সবাই দোয়া করবেন ।