জাতীয় দলে ফোকাস নেই, ভালো লাগা থেকে খেলছি: মাশরাফি

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

আনুষ্ঠানিক অবসর নিয়েছেন শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি থেকে, ২০১৭ সালে। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটকে এখনও বিদায় জানাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। জাতীয় দলের আশপাশেও নেই প্রায় দুই বছর ধরে।

তবে মাশরাফি ঠিকই আছেন মাঠে। কখনও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, কখনও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ কিংবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ঠিকই খেলার সঙ্গে আছেন এ ডানহাতি পেসার। চলতি ডিপিএলে তিনি খেলবেন লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের হয়ে।

এখন আর জাতীয় দল নিয়ে ভাবেন না তিনি। মূলত নিজের মনের আনন্দ ও ভালো লাগার কারণেই খেলে যাচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। বৃহস্পতিবার রুপগঞ্জের দলীয় অনুশীলনের পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নিজের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন মাশরাফি।

যেখানে তিনি স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, জাতীয় দল এখন আর তার ফোকাসে নেই। তাই এখন যতদিন সম্ভব ঘরোয়া ক্রিকেটটাই খেলে যেতে চান। আর জাতীয় দল ফোকাসে নেই বলেই, ভারত থেকে পিঠের সার্জারি না করিয়ে, শুধু পথ্য নিয়েই ফিরেছেন দেশে।

মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি চিকিৎসা করিয়ে এসেছি। সার্জারি করলে লম্বা সময়ের ব্যাপার। এ মুহূর্তে অ্যাডজাস্ট করে যত সময় খেলা যায়। এরপর বড় বিরতি আছে, (সীমিত ওভারের) ঘরোয়া ক্রিকেট তো নেই। এখন সার্জারি করালে হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেট মিস হতো। এজন্য আর কি ম্যানেজ করে যতটুকু খেলা যায়।’

এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে তারা হেরেছে ১৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। সেই ম্যাচে ছিলেন না মাশরাফি। তবে শুক্রবার দলের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে ফেরার আশা তার।

দলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের পর এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পরের ম্যাচ কালকে (শুক্রবার)। আশা করছি এখন পর্যন্ত (খেলবো)। বাকিটা মাঠে গিয়ে দেখা যাক।’

এসময় ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়ার পেছনে কারণ বা লক্ষ্যের কথা জানতে চাওয়া হলে মাশরাফি বলেন, ‘আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমি আগেও বলেছিলাম। শুধুই ভালো লাগা থেকে খেলছি। আমার কোনো লক্ষ্য নেই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঢাকা লিগে অসংখ্য খেলোয়াড় আছে যারা হয়তো ১০-১৫ বছর খেলছে। তাদের আর লক্ষ্য অন্যদিকে নেই। কেউ রুজি-রুটির জন্য খেলে, কেউ ভালো লাগার জন্য খেলে। খেলাটাই আনন্দ তাদের কাছে, তাই খেলে। আমার কাছে খেলাটা সবসময় উপভোগের। দেখা যাক কতদিন খেলতে পারি।’

ডিপিএলের দলবদলে রুপগঞ্জে নাম লিখিয়েই ভারতে গিয়েছিলেন মাশরাফি। ধরে নেওয়া হয়েছিল, অষ্টম সার্জারি করতে হবে তার। কিন্তু সার্জারির পর মাঠে ফেরার জন্য করতে হবে লম্বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তবে জাতীয় দলে ফোকাস না থাকায় সে পথে হাটেননি তিনি।

মাশরাফি বললেন, ‘এটি (সার্জারি) কঠিন। পিঠের সার্জারি আগে কখনও করতে হয়নি। এবার সার্জারিটা চিকিৎসক নিষেধ করেছেন। কারণ এই সার্জারিটা লম্বা সময়ের ব্যাপার। প্রায় নয় মাস লেগে যাবে ফিট হতে।’

‘আমার কাছে মনে হয় না সার্জারি করে নয় মাস রিহ্যাব করে মাঠে ফেরার কোনো পয়েন্ট আছে আমার। যেহেতু জাতীয় দলের কোনো ফোকাস নেই, সার্জারি থেকে যতটা দূরে থাকা যায় আর কি।’