করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়ালেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনও যেন সুদুর পরাহত। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর আগে অনির্ধারিত দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি এবং সেগুলোকে ঘরোয়া ক্রিকেটই বলা ভালো। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কখন মাঠে গড়াবে, সে আলোচনাই চলছে এখন।
এরই মধ্যে মাধ্যমে পাঠকরা জেনে গেছেন, আগামী মে মাসেই প্রিমিয়ার লিগের সম্ভাব্য সূচি নির্ধারণ করা আছে। আর আজ দুপুরে সংবাদ প্রচার হয়েছে, প্রিমিয়ার লিগ হবে ভিন্ন ফরম্যাটে। ওয়ানডে নয়, হবে টি-টোয়েন্টিতে। প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক কমিটি সিসিডিএম তেমনটাই ভাবছে।
মঙ্গলবার (আজ) পড়ন্ত বিকেলে ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদও সে কথা জানিয়ে দিলেন। শেষ বিকেলে বিসিবি থেকে পাঠানো এক অডিও বার্তায় কাজী ইনাম বলেন, ‘মে-জুন মাসে আমরা প্রিমিয়ার লিগের একটা উইন্ডো দেখছি। হয়তো দুই পার্টে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা কনসিডার করতে হতে পারে। সেটি ফরম্যাটও হতে পারে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এর আগেও আমরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট করে, পরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করেছি। এবার যদি এমন হয় আমাদের যথেষ্ট সময় নেই কিংবা ভেন্যু পাওয়া যাচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে হয়তো আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লিগ আয়োজন করবো।’
অবশ্য এটা এখনো সিসিডিএমের ভাবনার মধ্যেই আছে। এখন পর্যন্ত ক্লাবগুলোর সাথে বসে লিগের ফরম্যাট নিয়ে কথা-বার্তা হয়নি। আগামী শনি কিংবা রোববার সিসিডিএমের সভায় তা আলোচনা হবে এবং লিগের সম্ভাব্য দিনক্ষণ এবং ফরম্যাট চূড়ান্ত করার কথা বলেন কাজী ইনাম।
তিনি বলেন, ‘যদিও এই বিষয়টি এখনো আলাপ আলোচনার মধ্যে আছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে আগে বসতে হবে। সবগুলো ক্লাবের মতামত আগে আমরা নিবো। এরপর বোর্ডেরও একটা দিক নির্দেশনা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় যেতে পারবো।’
সিসিডিএম সভাপতি আরও যোগ করেন, তারা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান এবং তিনি আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, যেহেতু আগেরবার বেশ কয়েকটি দল আংশিক পেমেন্ট করে ফেলেছে, তাই সেই দলবদলে এবারের লিগ আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। তাতে করে ক্লাবগুলোরই সুবিধা। আবার নতুন করে দলবদল কার্যক্রমেও অংশ নিতে হবে না। আবার অর্থের জোগানও দিতে হবে না। শুধু বাকি পেমেন্টগুলো দিয়ে দিলেই চলবে।
তাই কাজী ইনামের মুখে এমন কথা, ‘সবকিছু মিলিয়ে চিন্তা করেছি, আমাদের এমন একটা সময় বের করতে হবে যেন তাতে আমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারি। কেননা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও ক্লাবগুলোর চুক্তি গত বছর হয়ে গেছে। ক্লাবগুলোও কিছু পেমেন্ট ক্রিকেটারদের করে ফেলেছে। সে বিষয়টা আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ করবো। ’