রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মহান ঐতিহ্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সবাইকে সম্মিলিতভাবে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রপতি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক, রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সনাতন ধর্মমতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় তিনি যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেন। কৃষ্ণের প্রেমিকরূপের পরিচয় পাওয়া যায় তার বৃন্দাবন লীলায়, যা বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরণা। শ্রীকৃষ্ণের ভাব ও দর্শন যুগ যুগ ধরে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সবাইকে সম্মিলিতভাবে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমি শ্রীকৃষ্ণের দর্শনকে ধারণ করে পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি, সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করবেন।