জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয় ৯৩৯ কোটি টাকা

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। যা টাকার অংকে প্রায় ৯৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জাতীয় নির্বাচনের জন্য মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা আছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনী কেনাকাটাসহ রোডম্যাপের অগ্রগতির বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনের সব মালামালের ইউনিট অনুযায়ী ব্যয়টা নির্ধারণ হয়েছে। যেমন, পোলিং পারসনের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেখানে মোট ব্যয়টা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বেশিভাগ টাকা যাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। ৬৫ শতাংশ ব্যয় উনাদের পেছনে যাবে। আর পরিচালনা ব্যয় হবে ৩৫ শতাংশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয়টা ডেপ্লয়মেন্টের ওপরে বেড়ে যায়। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং শেষে যদি আর্মি মোতায়েন করা হয়, সেভাবেই আমাদের ব্যয়টা ধরা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে এখনই বলা যাবে না, আরও ১০ দিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, সব কেনাকাটা চলছে। আমরা স্ট্যাম্প প্যাড নিয়ে পিছিয়ে আছি। তিন বার স্ট্যাম্পপ্যাড কেনার বিষয়টি বাতিল হয়েছে। কয়েকদিন আগে বাতিল হয়েছে, সেদিনও বাতিল হয়েছে। আজকে বিকেলে এক্সেপ্ট করেছি। এখন একটা ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারবো। এ ছাড়া, অনেক মালামাল পেয়ে গেছি। হুসিয়ান ব্যাগ, গালা, সিল, ব্যালট বাক্সসহ সবই পেয়েছি। আগের অর্ডারের মধ্যে কেবল অমোচনীয় কালি সাপ্লাই শেষ করতে পারেনি। কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে।

ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার আমরা বিজি প্রেস থেকে ছাপাবো। একদম প্রতীক বরাদ্দের পর ছাপাতে দেওয়া হবে। ভোটের দশ-পনের দিন আগে ছাপানো হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩ ধরনের নির্বাচনী উপকরণ কিনতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, সিল, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশি প্রভৃতি। এ ছাড়া, নির্বাচনে দশ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হবে। দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা। নির্বাচনী উপকরণ ক্রয় ও ভোটে দায়িত্বরতদের ভাতা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে ধরা হয় নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়। আর বাকিটা ধরা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যয়।