জাতির জনকের অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল ‘সমবায়’: প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনকের অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল ‘সমবায়’। সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে, যার ব্যক্তি সদস্য প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ। সমবায় দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহন, ক্ষুদ্র-ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সব সমবায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এবারের সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সমবায়ের গুরু্ত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে নির্ধারণ করেন তিনি। এ দেশের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির জনকের গণমুখী সমবায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম সমবায় প্রতিষ্ঠান ‘মিল্কভিটা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই গড়ে ওঠে।

সমবায় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সমবায় সমিতি আইন, ২০২১ এবং পরবর্তীতে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। সমবায় খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তা দেওয়ার কারণে সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক উন্নয়ন উত্তরোত্তর বাড়চ্ছে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে জাতির জনকের গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ করার কাজে হাত দিয়েছি আমরা। প্রাথমিকভাবে দেশের ৯টি জেলার ১০টি গ্রামের মোট ৫ হাজার মানুষ এ প্রকল্পের সুফল পাবেন। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ ও গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে। আশা করি, সরকারের এ লক্ষ্যপূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। আমি ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১ -এর সবার কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।