দিবসের প্রত্যূষে এই উপলক্ষ্যে দূতাবাসে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাষা শহিদদের স্মরনে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলপনায় সজ্জিত দূতাবাস চত্বরে এসময় মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত সহ কূটনীতিক বৃন্দ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, জর্ডানের স্থানীয় নাগরিক এবং জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর বাসেম মোহাম্মদ আল তুয়েসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল, এম পি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এম পি। এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আব্দেল করিম এবং ঢাকা থেকে যুক্ত হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জনাব শাহ আলী ফরহাদ।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত, জর্ডান ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিল্পিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের কবি মুজতবা আহমেদ মোরশেদ এবং জর্ডানদের সারকাসিয়ান ভাষার কবি জনাব আহমদে হামজুক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরও যোগদান করে জর্ডানস্থ ভারতীয় দূতাবাস ও মেক্সিকান দুতাবাস। অনুষ্ঠানে জর্ডানের জাতীয় সঙ্গিত কনজারভেটরি,বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে একুশের গান পরিবেশন করা হয়।