বছরের শেষ ওয়ানডে খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। নেপিয়ারে শনিবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে চলতি বছরের শেষ পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
নিউ জিল্যান্ড সফর কিংবা ২০২৩, ওয়ানডে ক্রিকেটে একদমই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। নিউ জিল্যান্ডে প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। নেপিয়ারে তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। জিততে পারলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ জিতবে। শুধু তা-ই নয়, জয়ে বছর শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ।
চলতি বছর ৩১ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১০টি। বিশ্বকাপ বছর থাকায় ওয়ানডে খেলা হয়েছে তুলনামূলক বেশি। ভরাডুবির বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরাজয়ের স্তুপ কেবল বেড়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, এশিয়া কাপের মতো আসরেও তেমন সাফল্য আসেনি। মিরপুরে বছর শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে দুই ওয়ানডে হেরে। চট্টগ্রামে গিয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে মান রক্ষা করে বাংলাদেশ। নিজেদের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাটে এ বছর মান বাঁচিয়েছে আয়ারল্যান্ড। সিলেট ও চেম্পসফোর্ড মিলিয়ে ফল হওয়া চার ম্যাচে চারটিই জিতেছে বাংলাদেশ।
এরপর চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডে হারের পর একটিতে জেতে স্বাগতিকরা। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারালেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। দ্বিতীয় সারির দল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে কোনো মতে মুখ রক্ষা হয়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের ভরাডুবি শুরু হয় ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের কাছে দুই ম্যাচ হেরে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউ জিল্যান্ডের কাছে দুই ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। বলা হচ্ছিল, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেরা দল নিয়ে যাবে, সেমিফাইনালের সমীকরণও কষা হচ্ছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ের পর শুরু হয় পরাজয়ের ছুট। ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তানের কাছে হার। যেনতেন কোনো হার নয়। সবগুলোই বিব্রতকর। শেষমেশ দিল্লিতে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর বিশ্বকাপের মিশন শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরেকটি ম্যাচ হেরে।
বিশ্বকাপের পরও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি বাংলাদেশ। ডানেডিনে ৪৪ রানের পর নেলসনে ৭ উইকেটের পরাজয়। এবার নেপিয়ারে কি অপেক্ষা করছে সেটাই দেখার।
মাঠের পারফরম্যান্সের থেকেও এ বছর সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে আলোচনায় ছিল মাঠের বাইরের নানা ইস্যু। যা পারফরম্যান্সে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে পারফরম্যান্সে অধারাবাহিকতা, পারফর্মারে ঘাটতি, দায়িত্বের ঘাটতি, নিবেদনের ঘাটতি, তাড়নার অভাব তো ছিলই। সব মিলিয়ে যে ফরম্যাটে বাংলাদেশ গর্ব খুঁজে নেয়, আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামে সেখানেই এবার বড্ড ভরাডুবি। বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে যদি জয় পায় তাহলে কিছুটা মনরক্ষা হতে পারে। সেই প্রত্যাশাতেই নতুন করে আশা বুক বাঁধা। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম জয়টা আসবে তো?