জবির সাত শিক্ষার্থীর সহকারী জজ পদে উত্তীর্ণ ও মনোনয়ন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি
 সহকারী জজ পদে ধারাবাহিক সফলতা ধরে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ১৩শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিজেএস) সহকারী জজ পদে উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী।বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি ও বিভাগীয় সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত ফলাফলে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জবির আইন বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩ জনের এখনো মাস্টার্স শেষ হয়নি। উত্তীর্ণরা হলেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের তামান্না ইয়াসমিন (৬১তম), এস এম নাহিদ নেওয়াজ (৫৩তম), তরিকুল ইসলাম পলাশ (৩৯তম), ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মোসাঃ সাবরিনা তাবাসসুম (৮৮তম), ইমদাদুল হক ইমন, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের হুমায়ুন কবীর ও ইবরাহীম সরকার।
প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিয়েই সুপারিশপ্রাপ্ত তামান্না ইয়াসমিন বলেন, ‘অনেক অল্প সময় পেয়েছিলাম প্রিলি এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য, অল্প সময়ের জন্য হতাশা কাজ করত। করোনার জন্য ভাইভা কখন হবে তা নিয়েও ছিলাম অনিশ্চয়তার মধ্যে। তারপরও প্রথমবার পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে লক্ষ্যে পৌছাতে পেরেছি তার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বাবা – মা, শিক্ষকদের এবং বন্ধুদের।’
এদিকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করা মোসাঃ সাবরিনা তাবাসসুম বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে তো কাজের চাপ থাকে অনেক। এর মধ্যে আমার বিয়ে হয়। সবমিলিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবে আমি মনে করি শিক্ষকতা আমার প্রস্তুতির জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। আমার বাবা একজন এডভোকেট। মূলত তার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে এই প্রফেশনে আসা। পাশাপাশি আমার মা, বোনেরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশেষ করে আমার হাজব্যান্ড আমাকে এ পর্যন্ত আসতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডীন প্রফেসর ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, ‘যদিও করোনার কারণে তেমন যোগাযোগ হচ্ছে না বলে মোট তালিকা এখনো জানা যায়নি। তবে নিঃসন্দেহে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ উত্তোরত্তর সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের এবং আনন্দের বিষয়। জুডিশিয়ারিতে একদম প্রথম ৬জন থেকে যে সাফল্যের সূচনা হয়েছে সে ধারা অব্যাহত থাকুক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান যেন তৈরি হয়। পাশাপাশি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি মনে করি যারা জুডিশিয়ারিতে সহকারী জাজ হিসেবে সুপারিশ পায় বা পাচ্ছে তারা তাদের জুনিয়রদের জন্য উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, এ সংবাদে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩ বছর পর চালু হওয়া আইন বিভাগের মাত্র ৬টি ব্যাচ থেকে এ পর্যন্ত ৪১ জন শিক্ষার্থী সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত ও উন্নীত হয়েছেন। এবার সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগ করলে যার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় অর্ধশত।