জবিতে মেধাবৃত্তি পাবেন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি:: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালা- ২০১৩ এর আলোকে স্নাতক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত (২০১৯-২০ সেশন) ছাত্র-ছাত্রীদের এক শিক্ষাবর্ষের জন্য মেধা বৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়ন করার সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মেধা বৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, student. erp.jnu.ac.bd অর্থাৎ student login প্যানেলে login করার পর ডান দিকে ”Apply for scholarship” লিংকে ক্লিক করে আবেদন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীগণ ১৪-০৪-২০২১ থেকে ১২-৫-২০২১ তারিখ পর্যন্ত নির্ভুলভাবে তথ্যাদি পূরণ করে অনলাইনে আবেদন সাবমিট করতে পারবে। উল্লেখিত সময়ের পর প্রাপ্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবেনা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করা ছাত্রছাত্রীদের আবেদনপত্রসমূহ ডাউনলোড করবেন এবং বিধি মোতাবেক দ্বিতীয় অংশ সুপারিশসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে ২৪-৫-২০২১ তারিখের মধ্যে প্রেরণ করবেন। আবেদনের তৃতীয় অংশ সঠিকভাবে যাচাই করে মন্তব্য প্রদানপূর্বক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর ৩-৬-২০২১ তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রার দফতরে প্রেরণ করবেন। এছাড়াও বিভাগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলে তাদেরকে আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করার কথাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, বৃত্তি নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) / সমমান ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের এক শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রতি বিভাগে ৩ জনকে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা হারে মেধা বৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ প্রদান করা হবে।

মেধা বৃত্তি ছাড়াও প্রতি বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের ১০% অস্বচ্ছল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ প্রদান করা হবে। বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাওয়ার যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকায় নীতিমালা মোতাবেক বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির মতামত থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ১১৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তি প্রদান করা হয়।যার মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৩০৭ জনকে মেধাবৃত্তি, ৭১০ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৬৯ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল।