মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আগে এই দেশে সামাজিক আন্দোলন হয়েছিল। আমরা চাই, ঠিক সেভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে আরেকটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠুক।’
বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়েছে, সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি উভচর ড্রেজার, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি টার্মিনাল ও সার্ভিস, চারটি কনটেইনার ক্যারিয়ার ভেসেল ও দুটি ইউটিলিটি ফেরির উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার এই দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায় না। সরকার চায় প্রত্যেকটি শিশু যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত হতে দেখতে চাই না।’
সব অভিভাবক, শিক্ষক ও ইমামদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরা একটি পরিকল্পিতভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে। তারা একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ কারণেই সরকার দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দূর করতে চায় এবং একই সঙ্গে মাদকও নির্মূল করতে চায়। তাই এখানে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে…প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার প্রতিটি শিশুর ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চায়। তিনি বলেন, ‘সেখানে প্রযুক্তি থাকবে, জ্ঞানভিত্তিক জাতি হবে…এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের নদীপথগুলো কার্যকর করতে চায়। কারণ নদীপথে পরিবহন খরচ অনেক কম। তিনি বলেন, ‘নদীগুলোতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত নদীপথগুলো চলাচলের উপযুক্ত করে, সারা দেশে নদীভিত্তিক পরিবহন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাই আমরা।’ এ জন্য নদীভাঙন প্রতিরোধেও পদক্ষেপ জোরদার করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান প্রমুখ।