নীলফামারীতে সন্তান হারুন অর রশিদকে (১৭) হত্যার ১২ বছর পর সৎ মা মোছা. শাহনাজ বেগমকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল করিম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত মোছা. শাহনাজ বেগম নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খেঁজুরবাগ মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর রাতে হারুন অর রশিদকে মারপিট করেন তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও সৎ মা মোছা. শাহনাজ বেগম। এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ অসুস্থ হলে তাকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পর দিন (১৩ নভেম্বর) বাবা আনোয়ার হোসেন ও সৎ মা মোছা. শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন নিহত হারুন অর রশিদের মা হোসনে আরা।
পুলিশ তদন্ত শেষে ওই হত্যা মামলায় হারুন অর রশিদের বাবা আনোয়ার হোসেন ও তার (হারুন) সৎ মা মোছা. শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
নীলফামারী জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায় বলেন, মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক জীবিত আসামি নিহতের সৎ মা মোছা. শাহনাজ বেগমকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।