খিচুড়ি সবারই পছন্দের খাবার। আর ছুটির দুপুর হচ্ছে খিছুড়ি খাওয়ার আসল সময়। বেশির ভাগ সময় আমাদের মাংসের খিছুড়ি খাওয়া হয়। তবে আজ মাংসের নয়, বরং মাছের খিচুড়ি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য। আসুন তাহলে দেখে নিন ভিন্ন স্বাদের ফিশ খিচুড়ির রেসিপিটি।
উপকরণ:
পোলাও/বাসমতী চাল ১ কাপ
কোরাল/বাছা মাছের কাঁটা ছাড়া ফিলে টুকরা ২ কাপ
মুগ ডাল ২ টেবল চামচ
মটরশুঁটি হাফ কাপ
পেঁয়াজ কুঁচি করা ১ কাপ
রসুন কুঁচি করা ২ চা চামচ
আদা মিহি কুচি ২ চা চামচ
শুকনো মরিচ ফালি করা ১ চা চামচ (কম বেশি করা যাবে )
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
আস্ত জিরা হাফ চা চামচ
তেল ২ টেবল চামচ
লবণ পরিমাণমত
ঘি হাফ চা চামচ (ইচ্ছা)
ধনিয়া পাতা মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ
প্রণালি:
১. প্রথমে মাছের ফিলে-গুলোকে ২ টেবল চামচ লেবুর রস ,হাফ চা চামচ লেবুর মিহি খোসা,অল্প অলিভ অয়েল আর অল্প লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা।
২. একটি পাত্রে চাল আর ডাল একসাথে নিয়ে ধুয়ে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
৩. এখন হাড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে আসলে এতে আস্ত জিরা দিন, ফুটে উঠলে এতে পেঁয়াজ কুঁচি দিন, বাদামী করে ভেজে নিন। এবার এতে আদা কুঁচি, রসুন কুঁচি, শুকনো মরিচ ফালি, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, লবণ পরিমাণমত আর অল্প পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
৪. এবার পানিতে ভিজিয়ে রাখা চাল-ডাল দিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৩-৪ মিনিট। এখন এতে ২ কাপ গরম পানি ও মটরশুঁটি দিয়ে নাড়াচাড়া করে এতে ধনিয়া পাতা মিহি কুঁচি, মেরিনেট করে রাখা মাছের টুকরাগুলো আলতো করে ছড়িয়ে দিন। ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন চাল সিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত, এতেই মাছ সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং পানি পরিমাণমত দিলে খিচুড়ি ঝরঝরে হবে।
মনে রাখবেন মাছ দেবার পর নাড়াচাড়া করলে মাছ ভেঙে যাবে। খিচুড়ি হয়ে আসলে নামানোর আগে অল্প ঘি ছিটিয়ে দিতে পারেন (না দিলেও হবে)।
৫. হয়ে আসলে টমেটো, পেঁয়াজ, ধনিয়া পাতা দিয়ে বানানো সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন সাথে রাখতে পারেন একটা সিদ্ধ ডিমও।