বাংলা পঞ্জিকায় নতুন বছরের প্রথম সূর্য কিরণের সঙ্গে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নৃত্যের ঝঙ্কারে চলে বর্ষবরণের আয়োজন। এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের এ প্রভাতি আয়োজনে শেকড় সন্ধানের আহ্বান জানানো হয়।
রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর সোয়া ছয়টার দিকে। আয়োজন শেষ হয় সকাল সাড়ে আটটার দিকে। ছায়ানটের শিল্পীরা গানে, যন্ত্রসংগীতের সুরে, কবিতায় আর কথায় নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
এবারের প্রভাতি আয়োজনে প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী মঞ্চে গান পরিবেনশন করেন। মেয়ে শিল্পীদের পরনে ছিল নানা রঙের পাড়যুক্ত অফ হোয়াইট রঙের শাড়ি এবং ছেলেরা পরনে ছিল সিদ্ধ জলপাই রঙের পাঞ্জাবি। এদের বেশিরভাগই ছায়ানটের শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে একক গান নিয়ে মঞ্চে হাজির হন খ্যাতিমান শিল্পী মিতা হক, লাইসা আহমেদ লিসা, তানিয়া মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, সুমা রায় ও সেঁজুতি বড়ুয়া।
আয়োজনে আবৃত্তি করেন প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী হাসান আরিফ এবং পাঠে অংশ নেন শামীমা নাজনীন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের নববর্ষ-কথন। আর ছায়ানটের রীতি অনুযায়ী, সবকণ্ঠে একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
সন্জীদা খাতুন বলেন, যে মাটি আমাদের পায়ের তলায় আশ্রয়, জন্মের শুভক্ষণে সেই মাটিতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছি আমরা। জন্মসূত্রে এ মাটি আমাদের একান্ত আপন। সে মাটির বুকে শিকড়ের মতো পা ডুবিয়ে মাটি-মাতাকে জানবো আমরা।
এর আগে শনিবার কাকাডাকা ভোর থেকেই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে রমনা বটমূল ছুটে আসেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা। তাদের পরনে ছিল রঙিন পোশাক। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।