ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করতে কাজ করবে জয়-লেখক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর বিতর্কের পর ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অপসারণের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয়। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতৃত্ব ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। রবিবার ইত্তেফাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তারা।

নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্রলীগ চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে থেকে ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। সংগঠনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সিচুয়েশনে এসেছি। আমাদের নেতৃত্বের আসার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা আমাদের সিনিয়র বড় ভাইদের সাথে কথা বলে এবং প্রাণপ্রিয় নেত্রীর সাথে কথা বলে তাদের পরামর্শে আমরা আমাদের সংগঠন পরিচালনা করব।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের যেকোনো অভিযোগ কিংবা দাবি থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমাদের কাছে আসতে কোনো লবিং কিংবা মধ্যস্থতা লাগবে না। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নতুন নেতৃত্ব কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

 

এদিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পর গতকাল রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে টিএসসি পর্যন্ত আসলে নেতা-কর্মীরা ‘জয় ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছার স্বাগতম’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী কর্মীদের ‘ভালো থেকো’ বলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এরপর তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসলেও রাতেই ক্যাম্পাস ছাড়েন। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে শনিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তারা বিক্ষোভ করেন।

এসময় পদবঞ্চিতরা বলেন, যে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার তদন্ত করে বিচার করতে হবে। শুধু পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের একমাত্র শাস্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তারা।