ছাত্রনেতা আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানির নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নাগরিক সংহতি!

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

০৩ ফেব্রুয়ারী  ২০২৩ বিকাল ৪.৩০ মিনিটে মহাত্মা অশ্বিনীকুমার টাউন হল চত্ত্বরে ঢাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিধান পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রধান দুই সংগঠক আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানিকে আটক ও তাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে নাগরিক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হিয়। গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক হুজাইফা রহমানের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাকপ সোহেল রানা, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশীদ নীলু, বিপ্লবী ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলার নেতা নৃপেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দাস,  বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য শন্তু মিত্র, এক্টিভিস্ট কাজল দাস,  ছাত্র ইউনিয়ন বরিশাল জেলার সভাপতি নুসরাত জাহান মিম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিজন শিকদার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ জাবের,   গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সুমাইয়া আফরিন,  গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক ভূমিকা সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ প্রমুখ। সংহতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী, আলোচিত্র শিল্পী কিশোর কর্মকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বার ভর্তি পরীক্ষার বিধান পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে একের পর এক আক্রমণ চালাচ্ছে প্রশাসন। গত ২৩ জানুয়ারি সেকেন্ড টাইমের দাবিতে প্রেসক্লাবে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায় পুলিশ। ছাত্ররা সকল হামলা নির্যাতনের মুখেও তাদের আন্দোলন চলমান রাখে। এর পর ২৮ তারিখে আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানিকে আটক করে ছাত্রলীগের হামলার এক মামলায় ফাসিয়ে জামিন না দিয়ে আটকে রেখেছে।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত প্রকাশ হলো এধরণের ঘটনা। আন্দোলন বানচাল করতে শিক্ষার্থীদের কোনরূপ কারণ ছাড়াই আটকে রাখা এবং মিথ্যে মামলা দেয়া এবং পরে জামিন না দেয়া সংবিধান পরিপন্থি কাজ। নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার পরিপন্থী এই কৃতকার্জের বিরুদ্ধে দাড়ানো আজকের নাগরিক দায়িত্ব। অবিলম্বে আটককৃত দুই শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান বক্তারা।