হঠাৎ করে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি মিডিয়া সেন্টারের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। অথচ মাঠে চলছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল। প্রশ্ন জাগতে পারে, ট্রফির জন্য লড়াইয়ে থাকা দুই দলের খেলা বাদ দিয়ে এখানেই কেন হইচই? কারণ একাডেমি মাঠে বল হাতে অনুশীলনে এসেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে আধঘণ্টা সময় ধরে মাশরাফি বল হাতে নিজেকে ঝালিয়ে নেন। ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে মাশরাফি এখনো পুরোদমে ফিরতে পারেননি। বোলিং করার সময় মাঝে মাঝে কোমরে হাত দিয়ে কসরত করতে দেখা গেছে। আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে।
তবে মাশরাফি মনে করেন ছন্দ ফিরে পেতে সময় লাগবে না তার, ‘বোলিং তো ওরকমভাবে করিনি। একটু ছোট রানআপে দেখছিলাম কী অবস্থা। এখনো তো ফুল রানআপ করিনি। তাই এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একটা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। হয়তো আগামী সপ্তাহে ফুল রানআপে বল করতে পারলে বুঝতে পারব। ছন্দ ফিরে পেতে বেশি দিন লাগবে না। যেহেতু ফিটনেস ঠিক আছে। যত তাড়াতাড়ি ফুল রানআপে বল করতে পারব তত ভালো। সেটাও ব্যাকপেইনের ওপর নির্ভর করছে।’
প্রায় চার মাস পর বল হাতে দেখা গেছে মাশরাফিকে। এর আগে সবশেষ তিনি বোলিং করেছেন গত সেপ্টেম্বরে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বেশ আগেই অবসর নিয়েছেন। ওয়ানডেতে অবসর না নিলেও জাতীয় দলের ভাবনায় তিনি নেই। আপাতত মাশরাফির সময় কাটে রাজনীতির মাঠে। আসন্ন বিপিএল দিয়ে দেখা যেতে পারে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। তবে ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিসিএলের প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু পুনর্বাসনের মধ্যে থাকায় নিশ্চিত না বলে জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘বিসিএল খেলব কি না নিশ্চিত নই। আমার ব্যাকপেইন আছে একটু। আজকে অনেকদিন পর এসেছি। একটু সময় লাগবে হয়তো। সামনে বিপিএল আছে। আস্তে আস্তে শুরু করছি। ব্যাকপেইনের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বিসিএলে খেলার কথা ছিল, আমাকে বলেছে। প্রস্তুতি পুরোপুরি শুরু না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি না।’
এবারের বিপিএলে মাশরাফি খেলবেন ঢাকার হয়ে। একই দলে খেলবেন জাতীয় ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাশরাফি সর্বশেষ বল হাতে দৌড়েছেন ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি তিনি।