গ্যারেথ বেল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে যেন ২০০২ সালের জিনেদিন জিদান হয়ে গেলেন। বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে জিদান ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে নজির গড়েন। ১৬ বছর পরে তারই শীর্ষ গ্যারেথ বেল বাইসাইকেল ভলিতে গোল করলেন। বেলের দুই গোলে এবং করিন বেনজেমার এক গোলে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। জয় করেছে কিয়েভ। জয় করেছে রেকর্ড ১৩তম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। এছাড়া ইতিহাসের একমাত্র দল হিসেবে জয় করেছে পরপর তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি।
তবে রিয়াল এ ম্যাচে জিতেছে নাকি লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিউস দলকে হারিয়েছেন তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। বোকা বোকা দুই গোল হজম করেছেন এই জার্মান গোলরক্ষক। প্রথমার্ধ গোল শুন্য কাটার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনেটে প্রথম গোল খান লরিস। রিয়ালের মাঝমাঠ থেকে বেনজেমার উদ্দেশ্যে বাড়ানো বল সহজে নিয়ন্ত্রনে নেন লিভারপুল গোলরক্ষক। কিন্তু হাত দিয় থ্রো দেওয়ার সময় পা বাড়ান বেনজেমা। তার পায়ে লেগে অবাক করা গোল খেয়ে বসে লিভারপুল।
এরপর ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল শোধ দেয় লিভারপুল। সেনেগাল তারকা সাদিও মানের করা গোলে দারুণ প্রতিযোগিতার আভাস দেয় লিভারপুল। কিন্তু ৬৩ মিনিটে ইসকোর বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের নায়ক বনে যান ওয়েলস ম্যান বেল। মাঠে নামার এক মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। তাও আবার যেন তেন গোল না। চোখ ধাঁধাঁনো বাইসাইকেল শটে। মার্সেলোর বাড়ানো ক্রসে দারুণ বাইসাইকেল খেলেন বেল। তার ওই শটেই যেন আভাস দিলেন এ ম্যাচের নায়ক তিনি। লিভারপুল গোলরক্ষকের অবশ্য এ গোল ঠেকানোর কোন উপায় ছিল না। কিন্তু তার নড়াচড়া খুব একটা দৃষ্টি নন্দন ছিল না।
এরপর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আবার গোল গ্যারেথ বেলের। আবার পাগলাটে ভুল লরিস কারিউসের। বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া শটটা লিভারপুল গোলরক্ষক বেশ সহজেই নিয়ন্ত্রনে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি যেন গোল না ঠেকিয়ে গোলে বল জড়িয়ে দিলেন হাত দিয়ে। তার ওই গোলে ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের জয় পরাজয় ছাড়িয়ে সালাহ এবং কারভাজালের ইনজুরি কপালে ভাল ফেলেছে লিভারপুল ছাড়িয়ে মিসর এবং রিয়াল ছাড়িয়ে স্পেন ভক্তদের। কারভাজালের বিশ্বকাপ একপ্রকার শেষ হয়ে গেছে। তবে রামোস যেভাবে সালাহকে ট্যাকল করেছেন তাকে মিসরের ভক্তরা তাকে ক্ষমা করবেন না। মিসরকে বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে এবং বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজা বনে গেছেন সালাহ। তাকেই যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে মিসর না পায় তবে মিসরবাসীর চক্ষুশুলে পরিণত হবেন রামোস।