চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন যেসব তারকা, শঙ্কায় আরও কয়েকজন

লেখক:
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

কোনো বৈশ্বিক ‍টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিযোগী দলগুলোর পূর্ব প্রস্তুতিতে তোড়জোড় দেখা যায়। ফলে অল্প সময়েই একের পর এক ম্যাচ খেলার ধকল যায় ক্রিকেটারদের ওপর। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগমুহূর্তেও তেমন পরিস্থিতির দেখা মিলেছে। এতে বাড়ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যা। যে কারণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন তারকা টুর্নামেন্টটি থেকে ছিটকে গেছেন, আরও কয়েকজন আছেন শঙ্কার তালিকায়।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ও দুবাইয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে প্রতিযোগী ৮ দলের প্রায় সবাই প্রস্তুতিমূলক সিরিজ খেলায় ব্যস্ত। কিন্তু বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বেশ কয়েকজন বড় তারকার দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে। চোটের কারণে ছিটকে পড়া কিংবা এখনও শঙ্কায় থাকা ক্রিকেটারদের তালিকাটাও বেশ বড়।

অস্ট্রেলিয়া
ছিটকে গেছেন– প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও মিচেল মার্শ। নাম প্রত্যাহার করেছেন– মিচেল স্টার্ক ও মার্কাস স্টয়নিস (ওয়ানডে থেকে আকস্মিক অবসর)।

বিশ্ব ক্রিকেটের বড় পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া আসন্ন টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যেন হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। একের পর পর চোটের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে নিজে থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আরও দুজন। অধিনায়ক কামিন্সের অ্যাঙ্কল, হ্যাজলউডের পায়ের মাংসপেশি এবং পিঠের চোটে পড়েছেন মার্শ। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নাম প্রত্যাহার করেছেন স্টার্ক। স্টয়নিসের হঠাৎ অবসর ঘোষণা নিয়ে তো কানাঘুষা এখনও চলছে। তাদের বদলে নেওয়া হয়েছে– শন অ্যাবট, বেন দারউইস, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, স্পেন্সার জনসন এবং তানভীর সাঙ্ঘাকে।

আফগানিস্তান
ছিটকে গেছেন— আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার ও মুজিব-উর রহমান।

গাজানফারকে দেশে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেতে হচ্ছে আফগানিস্তানকে। মেরুদণ্ডের চার নম্বর ভার্টিব্রার বামপাশের অংশে আঘাত পেয়েছেন এই রহস্যময় স্পিনার। যে কারণে অন্তত ৪ মাস তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তার বদলে আফগান স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে নাঙ্গলিয়া খারোটে। এ ছাড়া ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিক দল ঘোষণার আগেই বাদ পড়েন মুজিব-উর রহমান। চোট কাটিয়ে ফিরলেও, তিনি ফিট নন দাবি করে তার বদলে গাজানফারকে নেয় আফগানিস্তান। যদিও সম্প্রতি মুজিবকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা
ছিটকে গেছেন— এনরিখ নরকিয়া। শঙ্কায় আছেন— জেরাল্ড কোয়েটজে, লিজার্ড উইলিয়ামস ও বিউয়ান হেন্ড্রিকস।

প্রায় প্রতিটি বড় টুর্নামেন্ট এলেই ইনজুরি নামক দুর্ভাগ্য লেপ্টে যায় প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নরকিয়ার কপালে। এবারও তাই হয়েছে। পিঠের চোটের কারণে লম্বা সময় ৩১ বছর বয়সী এই গতিতারকাকে পাবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। তার বদলে স্কোয়াডে নেওয়া হয় জেরাল্ড কোয়েটজেকে। তিনিও এরপর চোটে পড়েন। কোয়েটজে ছাড়াও লিজার্ড উইলিয়ামস ও বিউয়ান হেন্ড্রিকসকে নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।

পাকিস্তান 
ছিটকে গেছেন— সাইম আইয়ুব। শঙ্কায় আছেন— হারিস রউফ।

স্বাগতিক পাকিস্তান দল ঘোষণার অনেক আগেই বড় ধাক্কা খায় ইনফর্ম ওপেনার সাইম আইয়ুবকে হারিয়ে। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় গোড়ালির চোটে পড়েন। যা তাকে মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছে দেড়মাসের জন্য। এ ছাড়া ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রিদেশীয় সিরিজে চোট পেয়েছেন হারিস রউফ। এই সিরিজ থেকে তিনি ছিটকে গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফিট হয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী পিসিবি।

ইংল্যান্ড
ছিটকে গেছেন— জ্যাকব বেথেল।

ভারতের মাটিতে খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছেন ইংল্যান্ডের তরুণ ব্যাটার জ্যাকব বেথেল। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলা হবে না তার। বেথেলের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে টম ব্যান্টনকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে।

ভারত
ছিটকে গেছেন— জাসপ্রিত বুমরাহ।

অনেকদিন ধরেই আসন্ন মেগা আসর থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ছিলেন ভারতীয় তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশাবাদী ছিল বিসিসিআই। তবে বুমরাহর পিঠের স্ক্যান শেষ পর্যন্ত হতাশ করেছে। বুমরাহর বিকল্প হিসেবে তরুণ হার্ষিত রানাকে ভারতের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যশস্বী জয়সওয়ালকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে।

নিউজিল্যান্ড
শঙ্কায় আছেন— লকি ফার্গুসন ও রাচিন রবীন্দ্র।

আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েন কিউই তারকা পেসার লকি ফার্গুসন। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ক্যাচ ধরার সময় বল মাথায় আঘাত করে রাচিন রবীন্দ্র’র। আগামী শুক্রবার সিরিজের ফাইনাল। সেই ম্যাচেও এখনও অনিশ্চিত রবীন্দ্র। তার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফার্গুসনকে নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।