মাগুরায় চোর সন্দেহে সজীব মোল্লা (১২) নামের এক স্কুলছাত্রের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সজীব ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে ও চান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

সজীবের বাবা কোহিনুর মোল্লা বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সজীব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এসময় স্থানীয় মুদি দোকানদার হাসান তাকে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে। তারা সজীবের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেয়।’

সজীবের চাচা জয়নুর বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হাসানের মুদি দোকানে চুরি হয়। ওই ঘটনায় সজীবের সম্পৃক্ততা রয়েছে অভিযোগ তুলে নির্যাতন করা হয়। সজীবের পায়ের একাধিক স্থানে লোহার পেরেক ঢুকানো হয়। পাশাপাশি হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়।’

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা বলেন, ‘সজীবের অবস্থা গুরুতর, তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিশারুল ইসলাম বলেন, ‘চোর সন্দেহে সজীব নামের এক স্কুলছাত্রকে নির্যাতন করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুদি দোকানদার হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’