অন্যান্য চিকিৎসা সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশের মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা যেন পান। এর জন্য এটা (চোখের চিকিৎসা) ফ্রি করে দিচ্ছি। অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এ উদ্যোগের ফলে অনেক অন্ধ মানুষ চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন। এর মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চোখের সবধরনের সমস্যায় সেবা নিতে পারবেন রোগী।
তিনি বলেন, আমরা এর আগে ৭০টি, এখন ৪৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারেন সেজন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি।
উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনে অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ডা. দ্বীন মোহাম্মদের কথা বিশেষভাবে বলতে চাই। এর সঙ্গে জড়িত সব চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানাই।
এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যার করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রত্যেককে যত্নবান হতে হবে। করোনা, যুদ্ধের কারণে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারিনি। শিগগির করবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগের ৩৯ জেলার ১৩৫ উপজেলায় সমন্বিত চক্ষু চিকিৎসাব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।