চেয়ারম্যান হতে দুই বান্ধবীর যুদ্ধ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের দুই বান্ধবী সালমা ও চম্পা। তাদের বন্ধুত্ব খুব প্রগাড়। তারা একসঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের তৃতীয় দফায় দুজনই চেয়েছিলেন নৌকার মনোনয়ন। কিন্তু পেয়েছেন জেলা কৃষক লীগের সদস্য এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. সালমা আক্তার চৌধুরী। তবে নৌকা না পেলেও বান্ধবীকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নয় চম্পা। তাই বিদ্রোহী হিসেবে চশমা প্রতীকে বান্ধবীর বিপক্ষে নেমেছেন নির্বাচনী লড়াইয়ে।

নৌকার প্রার্থী মোছা. সালমা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি, নারী-পুরুষ সবাই উৎসাহ দিচ্ছেন। কারণ আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমাকে ভোট দিলে নেত্রী খুশী হবেন।’

একইভাবে ভোটারদের মন জয় করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন মোছা. চম্পা বেগম। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সবার আগে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো।

হরিনগর গ্রামের রহমত আলী বলেন, গৌরারং ইউনিয়নে এর আগে কোনো নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়নি। কিন্তু সালমা ও চম্পা দুই বান্ধবী হলেও দুই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। এজন্য পুরো ইউনিয়নে বাড়তি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোনিয়া বেগম বলেন, গৌরারং ইউনিয়নে আগে কখনো কোনো নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হননি। এবার একজন নয়, দুজন প্রার্থী হয়েছেন। তাদের প্রচারণায় আমরা উৎস দিচ্ছি।

রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা কিসমত মিয়া বলেন, দুই নারী যেভাবে আট পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।

অচিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা রেহেনা বেগম বলেন, নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান হলে আমাদের জন্য ভালো। মন খুলে সমস্যার কথা বলা যাবে।

গৌরারং ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক রঞ্জন পুরকায়স্থ  বলেন, গৌরারং ইউনিয়নেই কেবল নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী। এজন্য এই ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণায় অন্য রকমের আমেজ বিরাজ করছে।