ছিনতাই বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিদিন শুধু রাজধানীতেই অহরহ ঘটছে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা, যা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা কিংবা সাধারণ গ্রাহকরা।
চুরি হয়ে যাওয়া এসব মোবাইল ফোন উদ্ধারে খুব একটা তৎপরতা যেমন নেই, তেমনি উদ্ধারের সংখ্যাও খুব কম। তাই হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার দাবি জানানো হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে দায়ী ব্যক্তির তিন বছরের কারাদণ্ড-জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফৌজদারি অপরাধে ছিনতাইকারীরা এ ধরনের সাজা পেয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই।
‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়া গ্রাহকরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করার পর সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে। মহানগরের ক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিসি অফিসে। সেখান থেকে বিষয়টি পাঠানো হয় পুলিশ সদরদপ্তরে।’
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে আবার বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য জিডির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়। এমনকি, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) আবেদন বা যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সুফল পাওয়া গেছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগত যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি বিটিআরসি কেবলমাত্র আইএমইআই নম্বার সনাক্ত করে কেবলমাত্র চলমান মোবাইল ফোন নিষ্ক্রিয় করার সক্ষমতা রাখে। তাছাড়া, বিটিআরসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অপারেটরদের মধ্যে কোনো ইকো সিস্টেম নেই। অনেক গ্রাহক থানায় ঘুরতে ঘুরতে পরে আর খোঁজ রাখেন না। হয়রানির ভয়ে অনেকে থানায় জিডি বা মামলা করতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
‘শাস্তি না পাওয়ায় অপরাধীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। আমাদের দাবি, যদি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অধীনে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস গড়ে তোলা হয় তবেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত সেবা ও নিরাপত্তা।