মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসের নয়াদিল্লি সফরের মূল লক্ষ্যই হতে চলেছে ভারত-মার্কিন সামরিক সমঝোতাকে আরও দৃঢ় করে তোলা। আমেরিকার কাছ থেকে ২২টি আন আর্মড হাই টেক মাল্টি মিশন প্রিডেটর ড্রোন কিনতে চায় ভারত।
সামুদ্রিক নজরদারির কাজে এই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহৃত হবে।
ভারত মহাসাগরের উপর অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকবে এই ড্রোনগুলো। এরকম অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ভারতীয় সেনাভাণ্ডারে যুক্ত হলে নৌ-বাহিনী যে আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে, সে কথা মানছেন সমর-বিশেষজ্ঞরা।
হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। মোদির মার্কিন সফরের আগে ভারতীয় নৌবাহিনী মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরকে চিঠি লিখে ২২টি প্রিডেটর ড্রোন কিনতে আগ্রহ দেখায়।
মার্কিন প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও সূত্রের খবর, ভারতের দাবি মেনে ড্রোনগুলো নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। ড্রোনগুলো বিক্রির বিষয়টি ব্যক্তিগত স্তরে দেখভাল করছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হওয়া এই গার্ডিয়ান ড্রোনগুলো তৈরি করে জেনারেল অ্যাটোমিক্স।
প্রসঙ্গত, অত্যাধুনিক শস্ত্রে সজ্জিত এই ড্রোনগুলো মূলত নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে একে ব্যবহার করে আমেরিকা। ভারতের উদ্দেশ্য, জলপথকে আরও নিশ্ছিদ্র রাখতে এগুলো ব্যবহার করার।
সীমান্ত নিয়ে হামেশা তৎপর থাকতে হয় ভারতীয় সেনাকে। উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে পাকিস্তান, উত্তর-পূর্বে চীন প্রায়ই ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে।
এদিকে, আবার কাশ্মীরে চলতে থাকা ক্রমাগত অশান্তি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তাদের কপালে। এমতবস্থায়, নতুন সশস্ত্র ড্রোনগুলো পাওয়া গেলে ভারতীয় সেনার পাল্লা অনেকটাই ভারি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।