চীনের হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন জেনারেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পেন্টাগনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা মার্ক মিলি চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার কথা স্বীকার করেছেন।
ব্লুমবার্গ টিভি-কে তিনি বলেন, ‘হাইপারসনিক অস্ত্রপরীক্ষার ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই চিন্তাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্নায়ু যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন যেমন স্পুটনিক মহাকাশে পাঠিয়েছিল, এও তেমনই ঘটনা কি না তা আমার জানা নেই। তবে তার খুব কাছাকাছি ঘটনা তো বটেই।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক মহাকাশে পাঠায়। তাতে যুক্তরাষ্ট্র অবাক হয়ে যায়। তাদের তখন ভয় ছিল, রাশিয়া তাদের অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ও প্রযুক্তিতে পিছনে ফেলে দেবে।
কয়েকদিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, জুলাইতে চীন হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে।
হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের থেকে পাঁচগুণ বেশি গতিতে যায়। ফলে তা রাডারে ধরা শক্ত এবং তার মোকাবিলা করা কঠিন।
গোপনে চীনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমা বিশ্বে। তবে এমন খবর প্রকাশের একদিন না পেরুতেই বিষয়টি অস্বীকার করে বেইজিং বলছে, এটি ছিল নিয়মিত মহাকাশযানের একটি পরীক্ষা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র ঝাও লি জিয়াং বলেন, বেইজিং জুলাই মাসে একটি মহাকাশ যান পরীক্ষা চালিয়েছে এটি কোনো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়। এর আগে অনেক দেশই এ ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর আগে, একাধিক সূত্রের বরাতে চীনা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, হাইপারসনিকটি একটি দূরপাল্লার রকেটে বহন করা হয়েছিলো।