করোনা সংকটের মধ্যেই নতুন করে প্রকৃতির রোষানলে পড়েছে চীন। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে চীনে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ। ভয়ানক বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এটি। বাঁধটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় চীনের ৪০ কোটি মানুষ ভয়াবহ হুমকির মধ্যে রয়েছে।
চীনের থ্রি জর্জেস বাঁধের কাছে সম্প্রতি বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখানেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। বলা হচ্ছে, বিগত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে চীন।
চলতি জুন মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে একাধিক নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
চিনেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য চিনের ২৪টি প্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করতে হয়েছে। বিশেষ করে ইয়াংজি নদী ও থ্রি জর্জেস বাঁধের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের সান্দোপিং শহরের পার্শ্ববর্তী ইয়াংজি নদীর উপর বিশ্বের সর্ববৃহত হাইড্রো-ইলেকট্রিক বাঁধটি তৈরি করা হয়। চীনের দাবি অনুযায়ী, এই বাঁধের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২২ হাজার ৫শ মেগাওয়াট। ২০১২ সালের জুলাই মাস থেকে চীনের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালু হয়েছে। বাঁধটির মূল পরিকাঠামোর কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালে।
এই বাঁধ নিয়ে ভারত, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি তোলা হয়েছিল। তবে চীন সরকার তা গুরুত্ব দেয়নি।
এশিয়া টাইমস ফিন্যান্সিয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৪৯ সালের পর চীনে এটাই বৃহত্তম বন্যা। এই বন্যার কারণে থ্রি জর্জেস বাঁধের ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে। থ্রি জর্জেস প্রকল্পের উপ-প্রধান প্রকৌশলী ঝাও ইউনফা ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন।
এদিকে, থ্রি জর্জেস কর্পোরেশন হাব ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর পরিচালক ঝাং শুগুয়াং বলেন, পুরো
ইয়াংজি নদী অববাহিকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এই বাঁধের নেই।