আজ রাতেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ।
মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে মাজেদকে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। এ সময় চিৎকার করে কেঁদেছেন তিনি।
এদিকে, আব্দুল মাজেদের মরদেহ ভোলায় দাফন করা হবে। সেখানে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। ফাঁসির কার্যকরের পর মরদেহ ভোলায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে ভোলা থেকে তার মরদেহ দাফনের জন্য দেবে না এলাকাবাসী এমন দাবি উঠেছে। এ নিয়ে বিপাকে রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহ পাঠানো হবে ও দাফনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।
ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে প্রবেশ করেছে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
এছাড়াও কারাগারে প্রবেশ করেছেন কারারক্ষী, জেলার, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জন। কারাগারের বাইরে ৩টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কারা সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।