চিৎকারে বেঁচে গেলেন দুই লঞ্চের কয়েকশ যাত্রী

:
: ৬ years ago

মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে চলাচলকারী এমভি সোমা লঞ্চের প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। সেইসঙ্গে অপর লঞ্চের কয়েকশ যাত্রীও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোমা লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জ ঘাটে নোঙর করার আগ মুহূর্তে বরিশালগামী এমভি বোগদাদিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। কিন্তু চালকের বিচক্ষণতায় সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় দুই লঞ্চ। সেইসঙ্গে বেঁচে যায় দুই লঞ্চের কয়েকশ যাত্রী।

এমভি সোমা লঞ্চের যাত্রী সাহাদাৎ রানা জানান, সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে এমভি সোমা লঞ্চটি ছেড়ে আসে। ৭টায় মুন্সীগঞ্জ ঘাটে নোঙর করে। তবে লঞ্চটি ঘাটে নোঙর কারার আগমুহূর্তে এমভি বোগদাদিয়া লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার উপক্রম হয়। এ সময় আতঙ্কে লঞ্চের যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকে। তাৎক্ষণিক বড় লঞ্চটি কিছুটা সাইড নিতে পারায় দুর্ঘটনা থেকে আমাদের লঞ্চটি রক্ষা পায়।

লঞ্চের অপর এক যাত্রী সেলিম বলেন, প্রায়ই এ নৌরুটে এমন ঘটনা ঘটে। অনেক সময় মাঝ নদীতে লঞ্চের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এই নৌরুটে অভিজ্ঞ লঞ্চচালক নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ লঞ্চ চালকের সহকারী দিয়ে পরিচালনা করা হয়। আজ আমাদের লঞ্চটিতে মো. মিলন নামে একজন অনভিজ্ঞ সহযোগী চালক ছিলেন। যার নিয়ন্ত্রণে ছিলাম আমরা প্রায় দুইশ যাত্রী। বলতে পারেন অল্পের জন্য বেঁচে গেলাম সবাই।

রবিন নামে অপর এক লঞ্চযাত্রী বলেন, প্রতিদিন আমরা ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা পাড়ি দিই এসব লঞ্চ দিয়ে। অধিকাংশ লঞ্চের ফিটনেস নেই। কাগজপত্র ঠিক নেই। নেই নিয়মমাফিক কোনো অভিজ্ঞ লঞ্চচালক। দিনের পর দিন এভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে চলছে প্রাণঘাতি নৌযানগুলো। এসব দেখারও কেউ নেই।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বলেন, আগামীকাল আমরা সরজমিনে লঞ্চঘাট যাব এবং এ বিষয়ে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। এই নৌরুটের লঞ্চ নিয়ে আরও অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।