চিকিৎসক সংকটে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১১ জন মেডিকেল অফিসার।

এর মধ্যে চারজন ডেপুটেশনে আর একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। ফলে ছয়জন চিকিৎসককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন প্রায় ১৫০-২০০ জন নতুন রোগী আউটডোরে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগে অর্ধশত রোগী জরুরি সেবা নেন। এর মধ্যে ২৫-৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা। নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

তাই সাধারণ কোনো অসুস্থতা নিয়ে আসলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের কারণে তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাইফুল হাসান বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দেশে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারজন চিকিৎসক ঢাকা আইইডিসিআরে ডেপুটেশনে নেওয়া হয়েছে।

তারা পাথরঘাটায় সংযুক্ত থাকলেও দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা আইইডিসিআরে। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিস্ট্রারে সংযুক্ত থাকলেও কর্মস্থলে চিকিৎসক নেই।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ডেপুটেশনে থাকা চারজন চিকিৎসকের সংযুক্তি বাতিল চেয়ে সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এ ছাড়া একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এতে স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রতি মাসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে চিকিৎসার ঘাটতি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে অতি শিগগিরই একটি সুরাহা করা হবে।’