চা বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদির সম্পদ বেড়েছে ৫২ শতাংশ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

গত পাঁচ বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫২ শতাংশ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধানী এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদির এই সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার মোদি নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দাখিল করেছেন সেখান থেকে তার এ সম্পত্তির হিসাব পাওয়া গেছে।

গত শুক্রবার ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসী আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মোদি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৫২ লাখ রুপি। ২০১৪ সালে যা ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ রুপি।

 

মোদির দাখিল করা ওই হলফনামায় দেখা গেছে, তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১ কোটি ৪১ লাখ রুপি। ২০১৪ সালে তার অস্থাবর সম্পত্তি ছিল মাত্র ৫১ লাখ রুপি, যা গত পাঁচ বছরে তিনগুণ বেড়েছে।

নরেন্দ্র মোদির আয়ের প্রধান উৎস তার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পাওয়া সম্মানী এবং ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসাবে রাখা অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ। হলফনামা অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ মোদির কাছে নগদ অর্থ ছিল মাত্র ৩৮ হাজার ৭৫০ রুপি।

তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন, তার কোনো ঋণ নেই; যদিও দেশটির আয়কর বিভাগ তার কাছ থেকে এখনো আনুমানিক ৮৫ হাজার ১৪৫ টাকা পাবে। এনডিটিভি বলছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাকে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ রুপি দিয়েছে।

 

জন্মস্থান গুজরাটের গান্ধীনগরে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি শাখায় মোদির অ্যাকাউন্টে মাত্র ৪ হাজার ১৪৩ রুপি আছে। তাছাড়া গান্ধীনগরে মোদির কিছু সম্পত্তি আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২১ কোটি ১০ লাখ রুপি। তিনি ২০০২ সালে সেটি ক্রয় করেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৮ রুপিতে।

গত পাঁচ অর্থবছরে বার্ষিক আয়ের হিসাব দিয়েছেন মোদি। তার দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সাল শেষে ১৯ লাখ ৯২ হাজার, ২০১৭ সালে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার, ২০১৬ সালে ১৯ লাখ ২৩ হাজার, ২০১৫ সালে ৮ লাখ ৫৮ হাজার এবং ২০১৪ সাল শেষে ৯ লাখ ৬৯ হাজার রুপি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থানে লিখেছেন, আহমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কলাশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।