দৃষ্টিশক্তি নিভে যেতে বসেছে মেধাবী শেখ লোমাত সহিবার। তিনি যশোর সরকারি এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। সহিবার চোখ ‘রেটিনা ডিটাচমেন্টে’ রোগে আক্রান্ত।
শেখ লোমাত সহিবা যশোর নিউমার্কেট বি ব্লক এলাকার শেখ দিলদার হোসেন ও মেরী হুদার মেয়ে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে সহিবার চোখে অপারেশনও হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা সম্পন্ন হয়নি। চিকিৎসা শেষ করতে আরও অন্তত চার লাখ টাকা দরকার। কিন্তু এ অর্থ জোগাড়ের সামর্থ্য নেই তার অসুস্থ শয্যাশায়ী বাবার। তাই সহিবার চোখের আলো ফেরাতে আঁচল পেতেছেন তার মা।
সহিবার মা মেরী হুদা জানান, পড়াশোনায় খুব মনোযোগী লোমাত সহিবা সবসময় হাসিখুশি থাকত। চোখে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেড় বছর আগে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। সে সময় তার বাম চোখে ‘রেটিনা ডিটাচমেন্ট’ ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশনের জন্য বলেন। তাকে ভারতে নিয়ে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসায় সে সময় তার প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়।
চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার চোখে সিলিকন অয়েল দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই অয়েল অপসারণ করতে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনাকাল শুরু এবং অর্থাভাবে সিলিকন অয়েল অপসারণে বিলম্ব হয়। গত ডিসেম্বরে দেশেই সেই সিলিকন অয়েল অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেটি পুরোপুরি অপসারণ হয়নি।
অন্যদিকে, বাম চোখে সমস্যা নিয়েও লোমাত সহিবা পড়াশোনা করে যাওয়ায় তার ডান চোখে পড়ে বাড়তি চাপ। এতে ডান চোখের রেটিনায়ও ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
মা মেরী হুদা আরও জানান, সহিবার এখন দিন ঘরে বসে। দ্রুত চিকিৎসা সম্পন্ন করা দরকার। তা না হলে চিরতরে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়তে পারে সে।