বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন পরিক্ষার্থী। গত ৪ বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা মিলিয়ে এবার ভালো করেছে পরীক্ষার্থীরা। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৪১ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ১৮৯ জন। সেই হিসাবে পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে ২৯৪টি।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ১১ ভাগ। ২০১৭ সালে বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ ভাগ এবং ২০১৬ সালে ৭৯ দশমিক ৪১ ভাগ পাস করেছিল। ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৪৬২ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালে পেয়েছিল ২ হাজার ২৮৮ জন এবং ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১১৩ জন। গত ৪ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা মিলিয়ে ভালো করেছে পরীক্ষার্থীরা।
২০১৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৬৬ ভাগ। তার পরের বছর ২০১৫ সাল থেকে পাসের হার কমতে শুরু করে। একইসঙ্গে কমতে থাকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। তবে গতবছর (২০১৯) থেকে এ অবস্থার উন্নতি ঘটতে থাকে।
এবার ২ হাজার ১০৯ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৩৭৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর প্রাপ্তির দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। মেয়েদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৭ আর ছেলেদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭২ ভাগ।
রোববার সকাল ১০টার পর বরিশাল শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ফল প্রকাশে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি।
বরিশাল বোর্ডের ফলাফল থেকে জানা গেছে, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৪-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১১০ জন, জিপিএ ৩.৫-৪ পেয়েছে ১৮ হাজার ৫৩৩ জন, জিপিএ ৩-৩.৫ পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৭ জন, জিপিএ-২-৩ পেয়েছে ২৪ হাজার ৬২৫ জন এবং জিপিএ ১-২ পেয়েছে ৭৭৮ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে। এ বিভাগে ২৫ হাজার ৭৭৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৩ হাজার ৬৫৯ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৮০। মানবিক বিভাগে ৬৪ হাজার ২৫৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৭ হাজার ৯১৬ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৫৭। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২২ হাজার ৪০৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৪১ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৫১।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩৬ জন। তারমধ্যে পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী।