চার দলেরই লক্ষ‌্য ‘ফাইনাল’

:
: ৪ মাস আগে

কেবল রংপুর রাইডার্সকে পাওয়া গেল না মিরপুরে। বসুন্ধরায় নিজেদের সাজানো-গোছানো মাঠ থাকায় রংপুরের ঠিকানা শুরু থেকেই ওখানে। এছাড়া বিপিএলের অন্যান্য দলগুলো সূচি করে অনুশীলন করে মিরপুরের একাডেমি মাঠে।

 

বিপিএল এখন শেষ গন্তব্যে। চার ম্যাচ দিয়ে নির্ধারণ হয়ে যাবে দশম বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন। সোমবার শুরু হচ্ছে সেই লড়াই। যেখানে দুপুরে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সন্ধ্যায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল রংপুর ও কুমিল্লা খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। দুপুর দেড়টায় এলিমিনেটর ম্যাচে যারা হারবে তারা বিদায় নিয়ে নেবে বিপিএল থেকে। বিজয়ী দল চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারের বিজয়ী দল খেলবে ফাইনাল, পরাজিত দল ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে। তারা খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার।

জটিল এই  সমীকরণ পেরিয়ে দুই দল পহেলা মার্চ খেলবে বিপিএল ফাইনাল। বিপিএলের চার দলের লক্ষ্য এখন একটাই ফাইনাল। সেই লড়াইয়ে নামার আগে যুদ্ধাংদেহী ভাব অবশ্য নেই। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে প্রতিটি দল শিরোপার লড়াইয়ে থাকতে চায়।

 

রংপুর ও কুমিল্লা কাগজে কলমে সেরা দল। দুই দলই বিগ বাজেটের দল গুছিয়েছে। শিরোপার প্রত্যাশাও করছে দুই দল। তবে সামনে আরেকটি ম্যাচ এটা মাথায় নিয়ে মাঠে নামার প্রত্যয় কুমিল্লার অধিনায়ক লিটনের, ‘(বড় কিছুর করার) চেষ্টা করব…। প্রত্যাশা বলতে… কোনো কিছুই এরকম না। প্রত্যাশা নিতে গেলে চাপ বেশি চলে আসবে। যেহেতু বড় ম্যাচ। (মাঠে) যাব, খেলাটা উপভোগ করব। যদি আমার দিন থাকে, দিনটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স নিজেদের মাঠে অনুশীলন করে বেশ চাঙ্গা। সকালে অনুশীলনের পর বিকেলে দলের মালিকের বাসায় আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন তারা। প্রথম পর্বে ১২ ম্যাচে ৯টি জিতে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল। যেই প্রক্রিয়ায় এতোদিন ভালো করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চান রংপুরের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান, ‘পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় কোয়ালিফায়ারের ওই নির্দিষ্ট দিনে কতটুকু ইনপুট দিতে পারছি সেটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। অবশ্যই কুমিল্লা ভালো দল কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ক্রিকেট সবসময় দলীয় খেলা, নির্দিষ্ট কোনো কিছু নির্ভরশীলতার কিছু নেই। আমরা দল হিসেবে ভালো করছি। দলের সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছে ভালো খেলার। আমরা ওইটাই কোয়ালিফায়ারে চেষ্টা করব যাতে আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিতে পারি।’

 

দুই দলের মহারণের আগে দুপুরে এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের সামনে বরিশাল। কাগজে কলমে, শক্তিতে, নামে চট্টগ্রামের চেয়ে অনেক এগিয়ে বরিশাল। কিন্তু বরিশালের পারফরম্যান্স এবার উঠা নামা করেছে বেশ। অন্যদিকে গত আসরের তলানির দল চট্টগ্রাম চমকে দিয়েছে সবাইকে। তাই তাদের গোণার বাইরে রাখা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। বরিশাল শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছে টি-টোয়েন্টির অন্যতম তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারকে। রোববার সকালে ঢাকা পৌঁছে অনুশীলনও করেছেন মিলার। ম্যাচে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার প্রত্যয় তার, ‘আমি দলে যতটা সম্ভব অবদান রাখতে চাই। আমি যেমন তরুণদের থেকে শিখতে পারি, তারাও তেমনি আমার থেকে শিখতে পারে। ছেলেরা ভালো খেলছে, আমি আমার ভূমিকা রাখতে চাই।’

চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম জানান, এলিমিনেটর পেরিয়ে কোয়ালিফায়ারে খেলতে হলে নিজেদের সেরাটাই নয়, টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জটাই তারা নিচ্ছে, ‘প্রতি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শেষ দুই ম্যাচ নকআউটের মত খেলেই আমরা প্লে-অফে এসেছি। এটাও আরেকটা দিনের মত ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা অবশ্যই জেতার জন্য মাঠে নামব। যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমরা চাইব ভালো খেলে পরের ম্যাচটা নিশ্চিত করতে। শেষ কয়েক ম্যাচে আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলেছি। প্রতিপক্ষ দলে কে আছে তা ফ্যাক্ট না। আমাদের দিকটা আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি কতটা মাঠে দিতে পারি সেটার উপর নির্ভর করছে।’