চামড়া বেচাকেনায় চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলছেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তায় পুলিশ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে। পশুর চামড়া কেনাবেচার ক্ষেত্রে কেউ চাঁদাবাজি বা প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

শনিবার (১৫ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএমপি সদর দপ্তরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে যাতে কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ঈদের দিন যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, গাবতলী ও অন্যান্য এলাকায় ব্রিজের ওপর বা রাস্তার ওপর চামড়া বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। লবণের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।

 

তিনি বলেন, পরিবারের প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। সে সময়ে বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ফাঁকা থাকে। প্রতি বছরই পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়। এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেকপোস্ট, টহল, ফুট প্যাট্রোল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সেই সাথে প্রত্যেকটি বাসা বাড়িতে এক বা দুইজন প্রহরী থাকেন, তারাও আমাদের সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বহিঃগমন পথগুলোতে বসানো হবে চেকপোস্ট ও পুলিশের টহল। শুধু গাবতলী হয়ে চামড়ার গাড়িগুলো হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এছাড়া, সকল জেলার চামড়া যাতে সীমানা দিয়ে বাইরে যেতে না পারে, সে ব্যাপারেও আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে।