চাকরি গেল বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৩৪ জনের

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বরিশাল সিটি করপোরেশনে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৪ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ’র পরিষদ। এসব কর্মচারীর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বিদায় নেয়ার এক মাস আগে নিয়োগ পেয়েছেন বলে সিটি করপোরেশন থেকে দাবি করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার।

তিনি জানান, ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ তালিকায় আরও ৫১ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মাসুমা আক্তার বলেন, কর্পোরেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক চাহিদার তুলনায় দ্বিগুন রয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার সময় শর্ত ছিল যখন প্রয়োজন হবে নগর ভবন কর্তৃপক্ষ চাকরি বাতিল করতে পারবে। সেই শর্তেই ১৩৪ জনের নিয়োগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৫১ জনের নিয়োগ রোববার বাতিল করা হবে।

মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর এপিএস রুবেল হাওলাদার জানান, একমাস আগে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় ছিল না। তাই তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়ছে। তবে মানবিক বিবেচনায় মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের নির্দেশে বিদায় নেয়া প্রত্যেককে কাজ ছাড়াই দুমাসের বেতন দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ নগর ভবন থেকে বিদায় নেয়ার মাত্র ২ মাস আগে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জনবল নিয়োগ করে রেখে যায়। যা সম্পূর্ণ রহস্যজনক এবং নতুন মেয়র খোকনকে নগর ভবন পরিচালনায় আর্থিকভাবে বিপদে ফেলার পাঁয়তারা ছিল বলেও দাবি এপিএস রুবেলের।

জানা গেছে, প্রশাসন, হাটবাজার, পরিছন্নতা, ভাণ্ডার, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, জন্ম নিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখার ১৩৪ জন কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়। বাদের তালিকায় থাকা অন্য ৫১ কর্মচারীকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। রোববার চূড়ান্তভাবে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে।

নিয়োগ বাতিল হওয়া এ ১৮৫ জনসহ মোট ৩০০ জনকে সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র একমাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। যদিও নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মচারীদের অভিযোগ দুই মাস কাজ করালেও তাদের কোনো টাকা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।