ময়মনসিংহে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে আটটি চেক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর গ্রামের মৃত ডা. মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদের ছেলে জহির উদ্দিন বাবুল (৫৫) এবং তার সহযোগী নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আব্দুল শহিদ খান পাঠানের মেয়ে গুলশান আরা খানম লাভলী (৪৫)। তারা ময়মনসিংহ নগরীর সেনবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।
বুধবার (২৩ জুন) রাত ৮টায় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে সকালে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে জহির উদ্দিন বাবুল ও ময়মনসিংহের সেনবাড়ি এলাকা থেকে গুলশান আরা খানমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, জহির উদ্দিন বাবলু নিজেকে ‘এমপি’ পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভনে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এই কাজে সহায়তা করতেন গুলশান আরা খানম লাভলী। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ নগরীর সেনবাড়ি এলাকা থেকে তার সহযোগী গুলশান আরা খানমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা স্বীকার করে যে, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রতারণা করে আসছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক শুলশান আরা খানম লাভলী কথিত এমপি জহির উদ্দিন বাবুলের হয়ে চাকরি দেয়ার নামে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছেন। তিনি সহজ-সরল ছেলেমেয়েদের চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই কথিত এমপির সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতেন।
সাধারণ মানুষ চাকরির আশায় শুলশান আরা খানম লাভলীকে বিশ্বাস করে টাকার অঙ্ক ছাড়াই চেক প্রদান করতেন। পরে গুলশান আরা চেকে ইচ্ছেমতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে উত্তোলনের জন্য সরকারি বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ করতেন। এই কাজে কথিত জহির উদ্দিন বাবুল এমপি পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদবির করতেন।