চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করার দাবি

:
: ৬ years ago

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার আগেই এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় ৮ সেপ্টেম্বর সব জেলায় একযোগে মানববন্ধন করা হবে।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি ও আন্দোলনের নতুন হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য একটি প্রস্তাবও তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাঁরা চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বা ৩৩ করলেও মানবেন না, ৩৫ বছরই করতে হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি করেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। তারপর দীর্ঘ ১৮ বছরেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হয়নি। ২১ বছর পর সরকার অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৫৯ করলেও প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করেনি। এখন প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম বয়স ছয় বছর করা হয়েছে। আগে যেখানে একজন ছাত্র ৪ থেকে ৫ বছর বয়সেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সে এসএসসি পাস করতে পারত, এখন সেটা ১৬ বছরের আগে সম্ভব নয়। স্নাতক ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে লেখাপড়ার সময় এক বছর করে বৃদ্ধি করে যথাক্রমে তিন ও চার বছর করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় আছে সেশনজটও।

সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ ভূঁইয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে। মানববন্ধনে আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।