বাংলাদেশের কোথাও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী ১ আগস্ট শনিবার দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সহ-সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকেন। কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারির মধ্যে এবার এই উৎসব উদযাপিত হবে।
সভায় ধর্ম সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪১ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বুধবার (২২ জুলাই) জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই)। আগামী ১ আগস্ট (১০ জিলকদ) শনিবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সোমবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ৩১ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করে থাকেন।
ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ই লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজব্রত পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন। কিন্তু করোনার কারণে এবার বাইরের দেশ থেকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ বাতিল করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজের সুযোগ পাবে শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দা এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা।
এবার ঈদে ৩১ জুলাই, ১ ও ২ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকবে। এরমধ্যে ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছাড়েন অসংখ্য মানুষ। গত ঈদুল ফিতরের সময় গণপরিবহন বন্ধ ছিল। করোনা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হলেও এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলছে। তাই নিয়ম মেনে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঈদুল আজহায় বাড়ি ফেরা যাবে।