চাঁদপুরে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ৭৫০ মণ ইলিশ জব্দ

:
: ৬ years ago

মা ইলিশ রক্ষায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই চাঁদপুরে প্রায় ৭৫০ মণ ইলিশ জব্দ করেছে টাস্কফোর্স।

শুক্রবার সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করা হয়। অভিযান চালানোর সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে।

রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দুকশীকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইলিশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালান। পরে জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়ির দুটি গোয়াল ঘরে রক্ষিত প্রায় ৭৫০ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, অভিযান চালিয়ে সেখানে রক্ষিত গোয়াল ঘর থেকে মাছগুলো জব্দ করেছি। জব্দকৃত মাছের মধ্য থেকে প্রায় ২৫০ মণ ইলিশ চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে আরও ৫০০ মণেরও বেশি মাছ রয়েছে। ওই মাছগুলো রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলীসহ স্থানীয় ৫ জনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুলল্গাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘অভিযান চালাতে গেলে সেখানকার অসাধু লোকজন আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার শম্পা ও কোস্টগার্ড কমান্ডার এনায়েতুল্লাহ জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে; কিন্তু কিছু অসাধু জেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালী নদীতে মা ইলিশ শিকার করে সংরক্ষণ করছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান জানান, ‘মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আর মাত্র দু’দিন আছে। এ অবস্থায় জেলেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের প্রশাসনের সব সদস্য মা ইলিশ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’