চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমরেড আব্দুল হালিম

:
: ২ years ago

বরগুনা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি, একাত্তরের রনাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক-শো অনুষ্ঠানে উপকূলীয় জনপদের উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় স্পস্ট উপস্থাপন করতেন ।

 

বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হেমায়েত উদ্দিনের পুত্র সৎ, আদর্শবান, সদালাপী, বিনয়ী স্বভাবের ও পরোপকারী কমরেড আব্দুল হালিম (৭৩) আজ বিকেল ২ টা ৩০ মিনিটে ঢাকার বেসরকারি ডেল্টা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

 

তিনি দীর্ঘদিন যাবত লিভার, গ্যাষ্টিক-আলসাসহ নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার প্রথম জানাজা বরগুনা ঈদগাহ মাঠে ও দ্বিতীয় জানাজা বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বলইবুনিয়া নিজ গ্রামের বাড়ি অনুষ্ঠিত হবে এবং জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

 

তাঁর মৃত্যুতে জেলা কমিউনিস্ট পার্টি , জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর বামনার বুকাবুনিয়া এবং সেক্টর কমান্ডর মেজর আব্দুল জলিলের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।

 

আব্দুল হালিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বহুবার সম্মূহে আক্রমনের শিকার হন। একদিন তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আড়াই ঘন্টা সাঁতার কেটে জীবন রক্ষা করেন এবং তাঁর সতীর্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মিলিত হন। এরপর থেকে বাম কানে তিনি শুনতেন না।