অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করবে। সূত্ররা জানিয়েছেন, মাসের ১৫ তারিখের দিকে এই দলটি ঢাকা এসে পৌঁছাতে পারেন।
মঙ্গলবার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরের বিষয়ে সবকিছু চূড়ান্ত করতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম এ ধরনের সফর হতে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সফর চূড়ান্ত হলে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূসের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগেই প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এই প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডও থাকবেন।
এই অঞ্চলের প্রতিরক্ষা কৌশল এবং পরিকল্পনার উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সমস্ত নীতিগত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে সিনিয়র নেতৃত্বের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন তিনি। তার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান বাদে ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সুরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে যোগ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি/অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ব্রেন্ট নেইম্যানও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সের আন্তর্জাতিক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ইউএসএআইডির একজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন।
প্রতিনিধি দলটি তাদের অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করবে।
ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে শেয়ার করার মতো কিছু নেই।’
ঢাকার এক কূটনৈতিক সূত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত হওয়াতে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এসেছে। এই সফরের মূল লক্ষ্য হবে কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে তা নির্ধারণ করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রাধান্যের বিষয়গুলো চিহ্নিত করা।’